গত মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী সুষমা স্বরাজের। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই একের পর এক ট্যুইট বার্তায় সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালে সুষমার দেহ রাখা হয় তাঁর বাসভবনে। সেখানে একের পর এক হাজির হতে থাকেন বিজেপি থেকে শুরু করে অন্য দলের নেতা নেত্রীরা। সুষমা স্বরাজকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও।
সুষমা স্বরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর চোখে যে জল তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। সচরাচর এতটা আবেগপ্রবণ হতে তাঁকে দেখা যায়না। দীর্ঘক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি। কথা বলেন সুষমা স্বরাজের স্বামীর সঙ্গে। কথা বলেন মেয়ে বাঁসুরীর সঙ্গেও। এদিন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সুষমা স্বরাজকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হাজির হন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ৯১ বছরের বিজেপির এই লৌহপুরুষ মেয়েকে নিয়ে হাজির হন। তাঁর মেয়ের চোখে ছিল জল। আডবাণী জানান, বিজেপির শুরুর দিন থেকে দলের সঙ্গে ছিলেন সুষমা। একজন প্রতিভাবান যুবনেত্রী ছিলেন। তাঁর কোর কমিটিতেও তিনি সুষমাকে নেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বিজেপি নেতারা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সুষমা স্বরাজকে। আসেন অন্য দলের নেতারাও। কংগ্রেসের তরফে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী একে একে শ্রদ্ধা জানান। দলগত পার্থক্য, মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও দেশের সব দলের নেতানেত্রীর সঙ্গেই সুষমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল সুন্দর। সুষমাকে সকলে পছন্দও করতেন। ফলে তাঁর মৃত্যুতে অনেকেই শোকাহত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা