ভারতীয় নাগরিক তথা প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হাতে কোনও প্রমাণ নেই। তিনি কোনও গুপ্তচর নন। অথচ তাঁকে গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পাক সেনা। এটা ভারত মেনে নেবেনা। এভাবে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তার ফল ভুগতে হবে পাকিস্তানকে। প্রভাব পড়বে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। মঙ্গলবার সংসদে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কুলভূষণকে বাঁচাতে যতদূর যা করা যায় ভারত সরকার তা করবে বলে সংসদে আশ্বস্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিকে কুলভূষণ ইস্যুতে সরকারপক্ষকে এদিন কোণঠাসা করার চেষ্টা করে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী পাক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের বিয়েতে পাকিস্তানে চলে যান। বৈঠক করেন। তখন কেন কুলভূষণ প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। কেন এখনই বা তিনি পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুলভূষণকে বাঁচানো নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছেননা। বৈঠক করছেন না। অন্তত ফোনেও তো কথা বলা যেত? এদিন সংসদে পাল্টা এভাবেই সরকারপক্ষকে চেপে ধরেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে জানান, যদি কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড ভারত সরকার রুখতে ব্যর্থ হয় তবে তা ভারতের দুর্বলতা বলে প্রমাণিত হবে। পাকিস্তানের এজেন্সিগুলি আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনেই কুলভূষণের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও ভারত চাপ তৈরি করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মল্লিকার্জুন।
গত বছর ৩ মার্চ পাক সেনা বালুচিস্তান থেকে আটক করে কুলভূষণ যাদবকে। তারপর তাঁকে ভারতের ‘র’-এর গুপ্তচর বলে তকমা দিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় গত সোমবার। এদিকে সোমবার এই খবর পাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ কুলভূষণের পরিবার। মুম্বইয়ে তাঁদের বাড়িতে এখন কেউ নেই। তাঁরা কোথায় তাও কারও জানা নেই।