প্রয়াত ঘরে বাইরে-র ‘বিমলা’ স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত
‘ঘরে বাইরে’-র ‘বিমলা’ থেকে ‘বেলাশেষে’-র ‘আরতি’, তাঁর অভিনয় বারবার নাড়া দিয়েছে বাঙালি দর্শক মনে। সেই স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
চলে গেলেন বাংলা নাট্যজগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। যিনি মঞ্চে তো বটেই, এমনকি সিনেমার পর্দাতেও ছিলেন সমানভাবে সাবলীল। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি সমস্যা বাড়ায় ভর্তি হয়েছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বুধবার তাঁর জীবনাবসান হয়। ২৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল বাংলা নাট্য জগতে।
ইংরাজি ভাষায় স্নাতক স্বাতীলেখার জন্ম এলাহাবাদে। সেখানেই বড় হওয়া। সেখানেই নাটকের সঙ্গে তাঁর প্রথম যোগাযোগ। মঞ্চে পা দেওয়া।
১৯৭৮ সালে কলকাতায় আসার পর যোগ দেন নান্দীকার নাট্যগোষ্ঠীতে। সেখানেই নাট্য ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। পরবর্তীকালে তাঁকেই জীবনসঙ্গী করেন স্বাতীলেখা। তাঁদের এক সন্তান সোহিনী সেনগুপ্ত এখন নিজে একজন সফল অভিনেত্রী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ঘরে বাইরে উপন্যাস নিয়ে করা সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত বিমলার চরিত্রে অভিনয় করে বাংলার দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন। আবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেলাশেষে সিনেমাতেও তিনি অসাধারণ।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর প্রথম পছন্দ ছিল মঞ্চ। সিনেমা খুব বেশি করেননি। তবে যেটুকু করেছেন তাতেই নিজের এক আলাদা ছাপ তৈরি করেছেন নিজের অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। তাঁর অভিনীত ২টি সিনেমা বেলাশুরু ও ধর্মযুদ্ধ এখনও মুক্তির অপেক্ষায়।
নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মান পেয়েছিলেন। এছাড়াও জীবনে অনেক সম্মান পেয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে বাংলা নাট্যজগত তথা সিনেমা জগতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল।