ইউরোপের সুন্দর শান্ত দেশ সুইডেন। এর রাজধানী স্টকহোমের ছোট্ট ছিমছাম দ্বীপ কুংশলমেন। নৈসর্গিক দ্বীপটির রাস্তার ২ ধারে তাকালে দু’চোখ ভরে যায় রঙের খেলায়। দ্বীপের সিংহভাগ বাড়ির বহিরঙ্গের পা থেকে মাথা জুড়ে আঁকা নানা থিমের চিত্র। চিত্ররূপময়তার এমন মায়াজাল বুননের কৃতিত্বের অনেকটাই প্রাপ্য আত্রিয়াম লুনবার্গ নামে একটি সংস্থার।
বিংশ শতকের গোড়া থেকে শ্রীহীন বাড়িঘরের সৌন্দার্যায়নের কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। এদের অধীনে কাজ করেন বহু গ্রাফিতি শিল্পী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সুইডিশ শিল্পী ক্যারোলিনা ফখহোল্ট। ক্যারোলিনার আর্ট থিমের মূল মন্ত্র, চুলোয় যাক যৌন-সর্বস্ব দুনিয়া। শরীরের গোপনাঙ্গ নিয়ে মানুষের মনের অহেতুক ছুৎমার্গ দূর হোক। আর সেই ভাবনাচিন্তাকে মানুষের দরবারে তুলে ধরতে নিজের সংস্থার হয়ে সম্প্রতি ম্যানহাটনের একটি চারতলা আবাসনে গোলাপি রঙের পুরুষাঙ্গ এঁকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি।
ক্যারোলিনার এবারের মিশন ‘ব্লু পেনিস’। মিশনকে সার্থক করতে দলবল নিয়ে হালে কুংশলমেন দ্বীপের একটি পাঁচতলা আবাসনের আপাদমস্তক জুড়ে রঙের জালে শিল্পী বুনেছেন ইয়া লম্বা একটি পুরুষাঙ্গ। যার রঙ সমুদ্রঘন নীল। আত্রিয়াম লুনবার্গ সংস্থার এমন উদ্ভট মিশনে অবশ্য চোটে লাল কুংশলমেন দ্বীপের গৃহস্থেরা। ছেলেপুলে নিয়ে তাঁদের সংসার। দিনরাত চোখের সামনে এমন আজব পুরুষাঙ্গ দেখতে কারই ভালো লাগে! তাই প্রতিবাদে মুখর হন তাঁরা।
আইনত বাড়িটা আত্রিয়াম লুনবার্গ সংস্থার। তাবলে নিজেদের বাড়ি বলে এমন জ্বলজ্বলে অশালীন ছবির প্রদর্শনী তো চলতে পারেনা। লোকলজ্জার পরোয়া না করলে চলবে কেমন করে! ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুরিভুরি অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জমা পড়ায় বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হয় সংস্থাটিকে।
একতলা থেকে ছাদ অব্দি পুরুষাঙ্গের চিত্রকে আচ্ছাদনে মুড়ে পাততাড়ি গুটিয়েছে আত্রিয়াম লুনবার্গ সংস্থাটি। তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য এখন একটাই। অন্য কোনও উদারপন্থী শহরে মানব শরীর, লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে প্রচারের জন্য নতুন কোনও গোপনাঙ্গ নিয়ে হাজির হওয়া। যা তাঁরা চিত্রের আকারে তুলে ধরবে কোনও অট্টালিকার আপাদমস্তক জুড়ে।