৩৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া পর্বতারোহীর খোঁজ দিল বিশ্ব উষ্ণায়ন
পৃথিবী গরম হচ্ছে। অস্বাভাবিক হারে গরম বাড়ছে। যা ৩৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক পর্বতারোহীর খবর দিল। ১৯৮৬ সালে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে ৩৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক পর্বতারোহীর সম্পর্ক কি? উষ্ণায়ন তাঁর খোঁজ কীভাবে দেবে? প্রশ্নগুলো মনে আসতেই পারে। এর উত্তর দেওয়ার আগে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৮৬ সালে। তখন সুইৎজারল্যান্ডে আল্পস পর্বতমালার থিয়োডুল হিমবাহের কাছে হারিয়ে যান এক পর্বতারোহী। তারপর অন্য পর্বতারোহীরা তাঁর অনেক খোঁজ করলেও তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
আল্পস বলেই নয়, হিমালয়েরও নানা কোণায় অনেক দেহ লুকিয়ে রয়েছে। যার খবর এখনও মেলেনি। ৩৮ বছর বয়সী সেই জার্মান পর্বতারোহীর খোঁজ না পেয়ে এক সময় তিনি কার্যত মানুষের স্মৃতি থেকে হারিয়েও যান।
কিন্তু এই ২০২৩ সালে এসে উঁকি দিল তাঁর দেহ। একদল পর্বতারোহীর নজরে পড়ে দেহটি। কিন্তু এতদিনে পড়ল না। এখন কেন পড়ল? এখানেই বিশ্ব উষ্ণায়ন জড়িয়ে পড়েছে এই উদ্ধারের সঙ্গে।
গত ৫ বছরে অস্বাভাবিকভাবে আল্পসের হিমবাহ গ্রীষ্মের সময় অতি গরমে গলে যাচ্ছে। এতটাই গলে যাচ্ছে যে অনেক জায়গায় বরফ গলে গিয়ে হয় পাতলা হয়ে যাচ্ছে, অথবা পাথর বেরিয়ে পড়ছে।
এই দেহটিও এতদিন পুরু বরফের তলায় হারিয়ে গিয়েছিল। ফলে পর্বতারোহীর খোঁজ মিলছিল না। কিন্তু এখন হিমবাহটি হুহু করে গলছে। ফলে বরফের পুরু স্তর পাতলা হয়ে গেছে। তাই তার তলায় থাকা দেহটি বেরিয়ে এসেছে।
ডিএনএ পরীক্ষা করে দেহটি যে ওই জার্মান নাগরিকের তা নিশ্চিত করা গেছে। শুধু এই জার্মান পর্বতারোহীর দেহ বলেই নয়, গত ৫ বছরে বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছু বরফ গলার জেরে সামনে এসে পরছে সুইস আল্পসে। ৩৭ বছর পর জার্মান এই পর্বতারোহীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।