ঘাস জমির নিচে বিলাসবহুল কুঁড়েঘর, এ বাড়ি দেখতেও পর্যটকের ভিড় জমে
এমন বাড়িতে থাকাটা যে কোনও মানুষের কাছে রূপকথার শামিল। থাকা দূরে থাক, চোখের দেখা দেখতেও বহু পর্যটক হাজির হন এখানে।
প্রথমে দেখলে মনে হবে সবুজ ঘাসের কার্পেটে মোড়া এক বিশাল মাঠ। চারধার পাহাড়ে ঘেরা। আশেপাশে অনেক ছোট বড় গাছ। নীল আকাশের তলায় এ যেন প্রকৃতির এক অনন্ত সবুজের অপার দান। তবে একটু ভাল করে দেখলেই নজরে পড়ে এই বিশাল ঘাস জমির তলায় লুকিয়ে আছে অন্য এক জগত।
যেখানে বেশ কয়েকটি কুঁড়ে ঘরের মত বাড়ি রয়েছে। যার ছাদ থেকে দেওয়াল তৈরি হয়েছে ঘাস জমি দিয়েই। চারধার মিলিয়ে এমন ৯টি বাসস্থান রয়েছে। যা দেখলে মনে হবে যেন মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট গুহাকে সুন্দর করে সাজানো।
এই ছোটটা কিন্তু সামনে থেকে দেখতে। এ বাড়ির ভিতরে ঢুকলে কিন্তু হাতপা ছড়িয়ে জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট ছড়ানো জায়গা। এক একটি বাড়িতে ঘর সংখ্যা আলাদা। যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের বন্দোবস্ত যত্ন করে সাজানো রয়েছে জমির তলার এই বাড়িগুলিতে।
সুইৎজারল্যান্ডের ডাইতিকোন এলাকার এই মাটির তলার বিলাসবহুল বাড়ির স্থপতির ভাবনা এতটাই সুপ্রসিদ্ধ যে তাঁর এই সৃষ্টি গোটা বিশ্বকে চমকে দেয়। বহু পর্যটক এখানে ঘুরে যান কেবল এই লুকোনো পৃথিবীর আর্থ হাউস দেখতে। সকলে অবাক চোখে চেয়ে থাকেন।
এই বাড়িগুলি প্রায় গোল করে তৈরি। মাঝে রয়েছে একটি জলাশয়। টলটলে জলের সে জলাশয় কিন্তু প্রকৃতির দান নয়। স্থপতির সৃষ্টি।
বাইরে থেকে কেবল বাড়িগুলির প্রবেশ পথটুকুই নজরে পড়ে। যা দেখে সেগুলিকে অপরিসর মনে হতে পারে। কিন্তু বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলে সে এক অন্য জগত। পরিবেশ বান্ধব হিসাবেও এই বাড়িগুলি বিশেষ প্রসিদ্ধ।