World

এ দেশে ১টা গিনিপিগ পুষলেই শাস্তি, কেন এমন আইন

পৃথিবীর অন্যতম প্রথমসারির এই দেশে গিনিপিগ পোষা যেতেই পারে। তবে ১টা পুষলে চলবে না। ১টা পুষলে কিন্তু শাস্তি মাথায় ঝুলছে।

গিনিপিগ অনেকেই পুষে থাকেন। কিছুটা খরগোশের চেহারার এই প্রাণি আবার কিছুটা ইঁদুরদেরও সমদর্শন। গিনিপিগ শুনলেই যে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত প্রাণি বলে মনে হয় তা কিন্তু বাস্তবে নয়। গিনিপিগ বাড়িতে অনেকেই পোষেন। বাড়িতে পোষ্য হিসাবে থাকে।

অনেক জায়গায় খরগোশের মত গিনিপিগও রাখা হয় মানুষের দেখার জন্য। বিশেষত ছোটদের। গিনিপিগ বাড়িতে পোষার সময় কেউ কটা গিনিপিগ পুষছেন সেটা প্রশাসন দেখে না।


তবে পৃথিবীর একটিমাত্র দেশ যেখানে গিনিপিগ ১টা পোষা যায়না। সে দেশে আইন করে এটা নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। তারপর থেকে কঠোরভাবে মানা হয়।

গিনিপিগ এমন এক প্রাণি যারা একা থাকতে চায়না। একা থাকলে তাদের মনখারাপ হয়। তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বন্ধু ছাড়া গিনিপিগ একদম থাকতে পারেনা। সে বন্ধু আর একটি গিনিপিগই হতে হবে।


পশুপাখিদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত করায় বিশ্বের প্রথমসারিতে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। সে দেশে কিন্তু একটি গিনিপিগ পোষা আইনত নিষিদ্ধ।

যে সুইৎজারল্যান্ড পশুপাখিদের অধিকার নিয়ে এতটা সচেতন, পশুপাখিদের সুরক্ষিত রাখতে ও ভাল রাখতে বদ্ধ পরিকর, সেই সুইৎজারল্যান্ডের কিন্তু কোনও জাতীয় পশু নেই। তারা কোনও একটি প্রাণিকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দিতে চায়নি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button