তুষারঝড় স্বাধীনতারও স্বাদ দেয়, প্রমাণ করে দেখাল ওরা ২ জন
তুষারঝড় মানে তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মানুষ থেকে অন্য জীবজগত, সকলের জন্যই তুষারঝড় আতঙ্কের। সেই তুষারঝড় যে কারও আনন্দের কারণ হতে পারে তা এবার দেখা গেল।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা তো জনজীবনকে অনেকটাই স্তব্ধ করে দেয়। তার সঙ্গে যদি তুষারঝড় শুরু হয় তাহলে তো ৪ দেওয়ালের পিছনে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া গতি নেই। তুষারঝড়ের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ।
কেবল মানুষের জন্যই নয়, অন্য জীবদের জন্যও আতঙ্কের আরেক নাম তুষারঝড়। প্রকৃতির এই ভয়ংকর রূপ যে কারও জন্য আনন্দের কারণ হতে পারে, কারও জন্য স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিতে পারে তা প্রমাণ হল এবার।
সুইৎজারল্যান্ডে হওয়া এমন এক তুষারঝড় গোসাউ এলাকায় আছড়ে পড়ার পর কার্যত চারধার সাদা হয়ে যায়। মানুষ আশ্রয় নেন ঘরে। বাইরে তখন বরফের তাণ্ডব চলছে।
ঝড়ের দাপটে গাছও ভেঙে পড়ে। এমনই কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে স্থানীয় ওয়াল্টার চিড়িয়াখানায়। এমনই গাছ ও তার ডালপালা ভেঙে পড়েছিল লাল পান্ডার জন্য তৈরি চিড়িয়াখানার ঘেরা জায়গায়।
গাছ ও ডালপালা এমনভাবে ওই ঘেরা জায়গায় পড়ে যে তা বেয়ে ওই ঘেরা জায়গার বেড়া টপকে বেরিয়ে আসতে অসুবিধা হয়নি ২টি রেড পান্ডার। তাদের একজন বেরিয়ে স্বাধীনতার আনন্দে ছুটে কাছের জঙ্গলে পালিয়ে যায়। অন্যটি চিড়িয়াখানার অন্য একটি উট প্রজাতির প্রাণির ঘেরা জায়গায় একটি গাছে গিয়ে বসে।
ঝড় থামার পর যখন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারেন, তখন খোঁজ শুরু হয়। ১টি লাল পান্ডাকে চিড়িয়াখানা চত্বরেই পাওয়া যায়। অন্যটিকে পাওয়া যায় কাছের জঙ্গলে।
অনেক চেষ্টার পর অবশেষে ধরা পড়ে ২টি। ফের তাদের ফিরিয়ে আনা হয় চিড়িয়াখানায়। যাতে তাদের জন্য তৈরি ঘেরা অঞ্চল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ওই ঝড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে দেওয়া হয়।