চকোলেটের বৃষ্টি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ছেয়ে গেল চকোলেটে
চকোলেটের স্বাদ নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারেনা। কিন্তু সেই চকোলেট যদি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে তাহলে কেমন অনুভূতিটা হয়!
জুরিখ : কোথাও কিছু নেই। মানুষজন লক্ষ্য করলেন আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে খয়েরি গুঁড়োর মত কিছু। বৃষ্টির মত ঝরে পড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সর্বত্র। কী জিনিস এটা! প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটিয়ে তাঁরা দেখার চেষ্টা করলেন কি ঝরছে আকাশ থেকে। আর দেখতে গিয়ে তাঁরা একাধারে হতবাক এবং খুশি। আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকোলেট! বৃষ্টির মত শহরের বুকে ছড়িয়ে পড়ছে তা। কিন্তু চকোলেটের বৃষ্টি কী সম্ভব? অবাক প্রশ্ন নিয়ে গোটা শহরটা রহস্য উন্মোচনে মেনে পড়ে। রহস্য উন্মোচনে নেমে পড়ে স্থানীয় প্রশাসনও।
ততক্ষণে আশপাশের বরফে মোড়া বিভিন্ন জায়গার শ্বেতশুভ্র বরফের চাদরের ওপর খয়েরি গুঁড়ো ভরে গেছে। এক অদ্ভুত রূপ নিয়েছে বরফে মোড়া এলাকাগুলো। যেন কেউ বরফের ওপর চকোলেট ছড়িয়ে দিয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছে সুইৎজারল্যান্ডে। সুইৎজারল্যান্ডের শহর ওল্টেন। এই শহর এবং তার আশপাশের এলাকা জুড়ে চকোলেটের এই বৃষ্টি রীতিমত হৈচৈ ফেলে দেয়। দেখা যায় আদপে ওই গুঁড়ো হল চকোলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া-র।
চকোলেট তৈরি করার জন্য তার প্রধান উপকরণ কোকোয়াকে শুকনো করে গুঁড়িয়ে নেওয়া হয়। যার পাউডার চকোলেট তৈরির কারখানাগুলি নিজেরাই করে নেয়। তারপর তা ব্যবহার করে চকোলেট তৈরি করার জন্য। আর সেখানেই হয় বিপত্তি। স্থানীয় একটি চকোলেট তৈরির কারখানার ভেন্টিলেশন সিস্টেমে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যার ফলে সেখানে তৈরি গুঁড়ো কোকোয়া হাওয়ার দাপটে কারখানা থেকে বেরিয়ে দ্রুত আশপাশে ছড়াতে থাকে। ওল্টেন শহর এবং আশপাশের এলাকায় ওই হাল্কা গুঁড়ো প্রবল হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর তা বৃষ্টির মত ঝরে পড়ে সর্বত্র। সেখান থেকেই এই চকোলেট বৃষ্টির অভিজ্ঞতা হয় সকলের।
চকোলেট তৈরির জন্য সুইৎজারল্যান্ডের সুখ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। সুইস চকোলেট মানেই চকোলেটের দুরন্ত স্বাদ আর দারুণ গুণমান। সুইৎজারল্যান্ডে চকোলেট তৈরির সংস্থাও অনেক। কোকোয়া গুঁড়ো করে তারা নিজেদের মত করে চকোলেট বানায়। ফলে সংস্থাগুলির বিভিন্ন জায়গায় কারখানা রয়েছে। তারই একটি কারখানার সমস্যা সুইৎজারল্যান্ডের বরফের ওপর বিছিয়ে দিল খয়েরি কোকোয়ার গুঁড়ো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা