১০০টি কামরা নিয়ে ছুটল ২ কিলোমিটার লম্বা যাত্রীবাহী ট্রেন
ট্রেনের মাথায় থাকা কামরা থেকে শেষ কামরা পর্যন্ত দেখতে গেলে যথেষ্ট ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ ২ কিলোমিটার লম্বা ট্রেন যেতে নেহাত কম সময় নিল না।
১০০টি বগি পরপর একে অপরের সঙ্গে লেগে আছে। কামরায় যাত্রীরা রয়েছেন। সেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন যখন স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল তখন পুরো ট্রেনটা প্ল্যাটফর্মে ধরল না। ট্রেন এগোল গন্তব্যের দিকে।
আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে ট্রেন এগোলেও যিনি স্থির করলেন প্রথম কামরা থেকে শেষ কামরা পর্যন্ত দেখবেন তাঁকে বেশ ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হল। শেষ কামরা যখন সামনে দিয়ে গেল তখন প্রথম কামরা ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছে।
এমনও যে সম্ভব হতে পারে তা দেখিয়ে দিল সুইস রেল। সুইৎজারল্যান্ডের রেল পরিষেবার ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যা আল্পস পর্বতমালার বুক চিরে চোখ জুড়িয়ে দেওয়া পথ ধরে ছুটল গন্তব্যের দিকে।
২৫ কিলোমিটারের এই পথ চলায় পাহাড়, নদী, টানেল সবই পড়ল। পুরোটাই পাহাড়ি পথে যাত্রা। এ সফরে যাত্রীদের জন্য যাত্রাপথ যতটা মনোরম, ততটাই তাঁদের এক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়াটা আনন্দের ছিল।
পাহাড়ি পথ ধরে ১০০ কামরার প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে সঠিকভাবে নিয়ে যাওয়াটাও ছিল সুইস রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সবকিছু সুন্দরভাবে মেটে। গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেনটি ১ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় নেয়।
তবে এই লাল টুকটুকে ট্রেনের যাত্রা দেখতেও স্থানীয় বহু মানুষ ভিড় জমান এর যাত্রাপথে। ক্যামেরাবন্দি করেন ইতিহাস। বিশ্বের এখনও কোথাও ১০০ কামরার প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাত্রা করেনি। সেদিক থেকে এটা ইতিহাসও।
প্রসঙ্গত ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগি সংখ্যা খুব বেশি হলে ২৪টি হতে পারে। তাতেই তার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দেখা দায় হয়। সেখানে ১০০টি বগির ট্রেন রূপকথা হয়ে রয়ে গেল।