Prakash Bhagat

এ দেশে খেলোয়াড়দের নানা দুর্দশার কাহিনি বারবার মানুষকে নাড়া দিয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে সোনা, রূপোর পদক আনা খেলোয়াড়রাও চরম আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এমন ছবিও উঠে এসেছে। এবার উঠে এল এক রনজি খেলা ক্রিকেটারের দুর্দশার ছবি। পরপর ২ বছর অসমের হয়ে রনজি খেলা স্পিনার এখন পরিবারকে দেখতে বাধ্য হয়ে অসমের শিলচর পুরসভার ইটখোলার রাস্তায় ডালপুরি বেচছেন। রাস্তার ধারে একটি অস্থায়ী স্টল করে সেখানে ডালপুরি বেচে দিনের শেষে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন এই প্রতিভাময় ক্রিকেটার। যাঁর প্রতিভাকে তুলে আনার জন্য সামান্য সরকারি সাহায্যও তাঁর কপালে জোটেনি। জোটেনি একটা চাকরিও। জাতীয় শিবিরে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটার প্রকাশ ভগতের ক্রিকেটের স্বপ্নের অকাল মৃত্যু ঘটে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর। অথচ এই স্পিনারের বোলিংয়ের ধরণ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মত। এজন্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকররা ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে উড়ে যাওয়ার আগে এই প্রকাশ ভগতের বলে দিনের পর দিন অনুশীলন করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ক্যাম্পে। ২০০৯ ও ২০১০, এই ২ বছর পরপর অসমের হয়ে রনজি খেলেছেন প্রকাশ। তারপরের বছরই মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। দাদাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় যদি অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁর পাশে দাঁড়াত তাহলে হয়তো প্রকাশকে আজকের দিনটা দেখতে হত না। কিন্তু প্রকাশের আক্ষেপ তা হয়নি। বরং প্রকাশকে পরিবার প্রতিপালনের জন্য বাধ্য হয়ে ক্রিকেট ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিতে হয়। এখন রাস্তায় ডালপুরি বেচে সংসার চালাচ্ছেন এক সময়ের এই প্রতিভাময় ক্রিকেটার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Prakash Bhagat

সৌরভকে বল করা রনজি ক্রিকেটার এখন রাস্তায় ডালপুরি বেচছেন

বিনা পয়সায় শো দেখছেন অনেকে, বুঝতে পেরে অভিনব পদক্ষেপ সুপারস্টার গায়কের

আকাশে দেখা গেল মহাজাগতিক সদ্যোজাত শিশু, বিজ্ঞানীরা বললেন অতিবিরল দর্শন

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরে কোনটি, কোহিনুর কিন্তু নয়