ফুলই কাড়ে তার জীবন, তবু ফুল ফোটাতে কার্পণ্য করেনা এই গাছ
যেকোনও গাছের ফুল তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এ গাছের জীবনটাই কেড়ে নেয় এর ফুল। গাছটি আবিষ্কারই হয়েছে ২০০৭ সালে।
২০০৭ সালে এই গাছের দেখা পান এক ব্যক্তি। তিনিই কার্যত এই গাছকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেন। গাছটি একধরনের পাম গাছ। যা খুব আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে। বছর ৫০ কেটে গেলে এ গাছের উচ্চতা প্রায় ২০ মিটারে পৌঁছে যায়। তখন গাছটি কার্যত তার যুবা বয়সে পৌঁছে যায়।
এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে গেলে গাছটি যেন খুশি হয়ে যায়। খুশি হয় কারণ সে তার প্রাপ্তবয়সে পৌঁছে গেছে। এবার সে তার ফুল ফোটাতে পারবে।
যৌবনের আনন্দে উদ্ভাসিত এ গাছের কাণ্ডের কাছে থোকা থোকা ফুল ধরে। ফুলগুলি কুঁড়ি ফুটে ছড়িয়ে পড়ে তার সৌন্দর্য নিয়ে। কিন্তু সেখানেই হয় গণ্ডগোল। গাছ কিন্তু জানে ফুল ফোটার মানে কি! তবু সে তার ফুল ফোটাতে থাকে।
ফুলগুলি হল ওই গাছের অন্তের শুরু। কারণ ওই ফুল গাছের সব রস টেনে নিতে থাকে। ফলে গাছের যে পুষ্টিরস তা ফুলই শুষে নিতে থাকে।
শত শত ফুল শুষতে থাকে গাছের প্রাণ রস। ফলে গাছটি ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। এমন করে মাস তিনেকের মধ্যেই গাছের প্রায় সব রসটুকু তার ফুলগুলি টেনে নেয়। গাছ শুকিয়ে যায়। তারপর এমন একটা সময় আসে যখন সে একটি কাঠে পরিণত হয়। প্রাণ নামক বস্তুটি গাছ থেকে বিদায় নেয়।
দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তাও কেবল আনালালাভা নামে একটি জায়গায় এই পাম গাছের দেখা মেলে।
কার্যত অতিবিরল প্রজাতির এই গাছ তার নিজের প্রাণ নিজেই কেড়ে নেয়। তাও সে যৌবনে পৌঁছলে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। সেই ফুলই হয় তার কাল। তাহিনা পাম নামেই এই গাছ প্রসিদ্ধ।