কানে কোলাহল, ছবি তোলার শব্দ, উঁকি দিয়ে তাজ্জব চিকিৎসক
এক মহিলা রাতে ঘুমোতে পারছিলেননা। কানে কোলাহল শুরু হচ্ছিল। বেজে উঠছিল ছবি তোলার মত ক্লিক আওয়াজ। চিকিৎসক কানে উঁকি দিতেই কথা হারিয়ে ফেললেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল ঘটনাটা। রাতে ঘুমোতে গেলে কানের মধ্যে ছবি তোলার মত ক্লিক আওয়াজ হচ্ছিল। কেউ যেন কানের মধ্যে ছবি তুলছে। আবার মাঝে মাঝেই কোলাহল শুরু হয়ে যাচ্ছিল। রাতে চারিদিক নিস্তব্ধ। কিন্তু তিনি কানে কোলাহলের শব্দ পাচ্ছিলেন।
কয়েকদিন বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব না দিলেও তারপর ওই মহিলার অস্বস্তি শুরু হয়। তিনি আর দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে হাজির হন।
চিকিৎসক ওই মহিলার কানে যন্ত্রের সাহায্যে উঁকি দিয়ে কার্যত চমকে ওঠেন। কানের অনেকটা ভিতরের নালীতে দিব্যি সংসার পেতেছে একটি ছোট মাকড়সা। এমনকি কানের মধ্যে জালও পেতেছে সে।
কানে মাকড়সার জাল বা ঝুল দেখে চিকিৎসক অবাক হয়ে যান। অবশেষে সেই মাকড়সা এবং তার পরিত্যাগ করা জাল বার করে আনেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে তাইওয়ানে। এক ৬৪ বছরের মহিলার কানে মাকড়সা বাসা বেঁধেছিল। এই ঘটনা তাইওয়ানে হলেও খবরটি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
অনেকের প্রশ্ন কানের মধ্যে যদি একটি মাকড়সা এভাবে বসবাস করছিল তাহলে তো মহিলার কানে ব্যথা অনুভব করার কথা। চিকিৎসকেরা অবশ্য মনে করছেন মহিলার ব্যথা অনুভব না করার কারণ মাকড়সাটির আকার।
৩ মিলিমিটারের মত আকৃতির ওই মাকড়সাটি এতটাই ছোট যে তার থেকে যন্ত্রণা হয়নি। কারণ তা দিব্যি কানের মধ্যের ওই নালীতেও ধরে গিয়েছিল। তাই কানে কোনও বিশেষ চাপ সৃষ্টি হয়নি। তাই ব্যথাও করেনি।