কেটে গেছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। তাইওয়ানের হুয়েলিন প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে দ্রুততার সাথে উদ্ধার করতে হবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের। এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। সেই চ্যালেঞ্জ পূরণের আগেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ‘ভিলেন’ আফটারশক।
মূল ভূমিকম্পের পরে ধুলোয় ঢেকেছে হুয়েলিন প্রদেশ। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ভূকম্পনের পরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের কাজে এমনিতেই বারবার বাধা আসছিল। তার ওপর অপ্রত্যাশিতভাবে ১ দিন পরেই হুয়েলিনে আবির্ভূত হয়েছে দ্বিতীয় জোরালো ভূকম্পন। যা কার্যত মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত আছড়ে পড়েছে। বুধবারের সেই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। যার জেরে মৃত মানুষের সংখ্যা ৪ থেকে একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। নতুন করে কম্পনে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬০-এর ঘর। দ্বিতীয় এই কম্পনের তীব্রতায় খুব শীঘ্রই মাটিতে গুঁড়িয়ে যাবে বিপদজনকভাবে হেলে থাকা একটি হোটেল। সেই আশঙ্কাও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে হুয়েলিন প্রশাসনের কপালে।
গত মঙ্গলবার ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে নড়ে ওঠে তাইওয়ানের সিংহভাগ। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সাজানো গোছানো অঞ্চল হুয়েলিন। ভূকম্পের জেরে মৃত্যু হয় ৪ জনের। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ২০০-র গণ্ডি। ছোট ছোট আফটারশকের ধাক্কা এলেও ২ দিন ধরে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের উদ্ধারকারীরা। ৯০ জন মানুষকে এরমধ্যে উদ্ধার করে ফেলেছেন তাঁরা। বাকিদের খোঁজে চলছে জোরকদমে তল্লাশি। সরানো হচ্ছে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ। চেষ্টা চলছে হুয়েলিনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর। প্রশাসনের সেই প্রচেষ্টায় ফের কোনও তীব্র ‘আফটারশক’ ধাক্কা দেবে না তো? সেদিকে সতর্ক নজর রাখছেন তাইওয়ানের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।