এশিয়ায় এই প্রথম কোনও দেশ সমলিঙ্গ বিয়েতে ছাড়পত্র দিল। শুক্রবার তাইওয়ানের পার্লামেন্ট ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে সমলিঙ্গ বিয়েতে সিলমোহর দিয়ে দেয়। পার্লামেন্ট জানিয়ে দেওয়ার পরই এই স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে সমলিঙ্গ বিয়েতে আগ্রহীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বয়ে যায়। গে ম্যারেজে ছাড়পত্র এশিয়ায় আজ পর্যন্ত কোনও দেশ দেয়নি। এই প্রথম তাইওয়ান দিল। তবে কী এবার আইনসিদ্ধ ভাবেই সমলিঙ্গ বিবাহ এশিয়ার অন্য দেশগুলিতেও ছড়িয়ে পড়তে চলেছে? এ প্রশ্ন এখন অনেকের।
শুক্রবার তাইওয়ানের পার্লামেন্ট কী সিদ্ধান্ত নেয় তা জানতে সকাল থেকেই রাজধানী তাইপে-তে পার্লামেন্টের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন গে রাইটসের সমর্থকেরা। সিদ্ধান্ত তাঁদের পক্ষে যায় কিনা তা নিয়ে অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে সিদ্ধান্ত তাঁদের পক্ষে যাওয়ায় খুশির বন্যায় ফেটে পড়েন তাঁরা। একে অপরকে আলিঙ্গন করে খুশি প্রকাশ করেন সকলে।
যদিও তাইওয়ানের সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু এই সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি ছিল। জনগণের সিংহভাগই চাইছিলেন না সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনসিদ্ধ করা হোক। তাঁরা এখনও পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিবাহেই সম্মতি দিচ্ছেন। কারণ তাঁদের মতে নারী ও পুরুষের বিবাহই বিয়ের প্রকৃত রূপ ব্যাখ্যা করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা