জলে ঢুকল চিনা রণতরী, আকাশে পাক দিচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান
এবার কি দেশটাই দখল করতে সমরসজ্জায় ব্যস্ত হল চিন? আক্রমণের ভান করলেও তা কি অচিরেই বাস্তব হতে চলেছে? তেমন ইঙ্গিতই স্পষ্ট।
রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে যে রাস্তায় হেঁটেছে, চিনও কি তাইওয়ান দখলে ঠিক সেই পথেই হাঁটতে চলেছে? অন্তত চিন যা শুরু করেছে তাতে তেমনই মনে করছে গোটা বিশ্ব।
মহড়া বলে দাবি করলেও তাইওয়ানের ওপর চক্কর দিচ্ছে চিনের যুদ্ধবিমান। একটা দুটো নয়, চিনের ৬৮টি যুদ্ধবিমান মাঝেমধ্যেই তাইওয়ানের আকাশে ঢুকে পড়ছে। আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আকাশে যখন যুদ্ধবিমানের হম্বিতম্বি চলছে, তখন সমুদ্রেও চিনা দাপট অব্যাহত। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ান ও চিনের মাঝে যে খাঁড়ি রয়েছে তা ১৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত। তার মাঝখান দিয়ে একটি কল্পিত ভাগাভাগি রেখা রয়েছে। যার একদিক তাইওয়ানের। অন্যদিক চিনের।
২ দেশ এই ভাগাভাগিকে সম্মান করে এসেছে। কিন্তু চিন এখন ওই লাইন পার করে তাইওয়ানের জলে রণতরী প্রবেশ করিয়েছে। সমুদ্র জুড়ে চিনের ১৩টি রণতরী ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এসবকে কার্যত সমরসজ্জা হিসাবেই মনে করছে তাইওয়ান। এসব না করে চিনকে দ্রুত সরে যেতে বলেছে তাইওয়ান প্রশাসন। অন্যদিকে তাওয়ান আত্মরক্ষায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে তৈরি রেখেছে।
এদিকে চিন ইতিমধ্যেই তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার একটি তো তাইওয়ানের রাজধানী শহর তাইপের গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে।
৪টি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছে তাইওয়ানে জাপানের একটি ইকোনমিক জোনে। এভাবে চিন আসলে জাপানকে চিন তাইওয়ান সমস্যা থেকে দূরে থাকার বার্তাই দিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা