৬ মাস পর খুলছে তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট
দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে তাজমহল ও আগ্রা ফোর্ট। মাঝে তাজমহল খোলার সব প্রস্তুতি সারা হলেও তাজমহল খোলা হয়নি।
আগ্রা : করোনা দেশে ছড়ানো শুরু হওয়ার পর থেকে সেই যে আগ্রার তাজমহলে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় তারপর থেকে তা আর খোলা হয়নি। একইভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল আগ্রা ফোর্টও। আগ্রার এই ২টি দ্রষ্টব্য স্থান ঘিরেই সারা বছর এখানে দেশ বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জমান।
মাঝে অবশ্য তাজমহল খোলার কথা থাকলেও প্রস্তুতি নিয়েও শেষে দরজা খোলায় ছাড় দেওয়া হয়নি। আগ্রার করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এই পর্যটনস্থল ২টি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে সোমবার থেকে তাজমহল ও আগ্রা ফোর্ট খুলে যাচ্ছে সাধারণের জন্য। তবে ১৭ শতকের প্রেমের সৌধ তাজমহলে সাধারণের প্রবেশ নিয়ে একগুচ্ছ নিয়মবিধি রাখছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
তাজমহলের পূর্ব ও পশ্চিমের দরজায় থাকছে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। থাকছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত। থাকছে মেঝেতে কাটা গোল গোল চিহ্ন। যা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পর্যটকদের সাহায্য করবে।
একটি শিফটে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাজমহলে প্রবেশের জন্য টিকিট কাটতে হবে অনলাইনেই। কোনও কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হবে না।
বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের মূল্য থাকছে ১ হাজার ১০০ টাকা। ভারতীয় পর্যটকদের জন্য তাজমহলে প্রবেশের জন্য থাকছে ৫০ টাকার টিকিট। তবে মূল সৌধ, যেখানে সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমের সমাধি রয়েছে তা দেখতে ভারতীয় পর্যটকদের আরও ২০০ টাকার টিকিট কাটতে হবে।
তাজমহলের পাশাপাশি সোমবার থেকে আগ্রার আর এক দ্রষ্টব্য স্থান আগ্রা ফোর্টও সাধারণের জন্য খুলে যাচ্ছে। সেখানেও থাকছে করোনা স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। আগ্রা ফোর্টও ৬ মাস বন্ধ ছিল করোনার কারণে।
এদিকে আগ্রার পরিস্থিতি কিন্তু এখনও স্বাভাবিক নয়। তাজের শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জন নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে।
গত ৬ জুলাই ছিল সোমবার। ওইদিন থেকেই তাজমহল খোলার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং তার আগেই ঘোষণা করেছিলেন তাজমহল খুলে দেওয়ার কথা। পর্যটকরা তাই নিশ্চিত ছিলেন তাজমহলে ঢুকতে পারবেন বলে।
তাজমহলে প্রবেশ ও ওই চত্বরে থাকার সময় প্রয়োজনীয় যে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে তারও তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সব ভেস্তে যায় শেষ মুহুর্তে। খোলার ঠিক আগের দিন তাজমহল না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় আগ্রার স্থানীয় প্রশাসন ও এএসআই। কারণও ছিল।
আগ্রা শহরে তখন হুহু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। তাই তাজমহল পর্যটকদের জন্য খোলা ঝুঁকির হবে বলেই মনে করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা