বাঁশ দিয়ে মুড়ে ফেলে সেদিন রক্ষা করা হয়েছিল তাজমহলকে
তাজমহল আদৌ কি আজও মানুষের দেখার জন্য থাকত, নাকি সেদিন তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হত। যদিনা সেটিকে বাঁশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হত।
বাঁশ সেদিন বাঁচিয়ে দিয়েছিল তাজমহলকে। নাহলে তাজমহল আদৌ এখনও বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য হয়ে মানুষের দেখার জন্য থাকত কিনা সন্দেহ রয়েছে। হয়তো সেদিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিত আকাশ থেকে নেমে আসা কোনও বোমা।
এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের কথা। বোমারু বিমান ভারতের আকাশেও হানা দিয়েছিল। সে সময় তাজমহল টার্গেট হতে পারে একথা মনে করে আনানো হয়েছিল প্রচুর বাঁশ। সেসব বাঁশ গায়ে গায়ে ঘন করে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। তাজমহলকে ঢেকে ফেলা হয়েছিল সেই বাঁশের ভারা দিয়ে।
এতটাই ঘন করে বাঁশ বাঁধা হয়েছিল যে উপর থেকে বোঝার উপায় ছিলনা সেটি কি! মনে হতে পারত বাঁশের কোনও খাঁচা তৈরি করে কাজ হচ্ছে। এভাবেই বোমারু বিমানের হাত থেকে সেদিন রক্ষা করা হয়েছিল তাজমহলকে। অন্তত সেই বাঁশ বাঁধার কারণ হিসাবে সেটাই মনে করা হয়েছিল। যাতে তাজমহল বোমারু বিমানের নজর এড়াতে পারে।
তাজমহল সারা বিশ্বের কাছেই এক পরম আশ্চর্য হয়ে রয়ে গেছে। এই অসামান্য স্থাপত্য কর্ম দেখতে এখনও বছরভর দেশের তো বটেই, বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে তাজমহল চত্বরে।
তাজমহল আগ্রা শহরের অর্থনীতির একটা বড় ভরসাও বটে। তাজমহলকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আনাগোনা এ শহরের বহু মানুষের কর্মসংস্থানের রাস্তা খুলে দিয়েছে।