তাজমহলকে সবুজ করে দিচ্ছে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া যমুনা
তাজমহলকে সবুজ করে দেওয়ার দায়িত্ব যেন কাঁধে তুলে নিয়েছে শুকিয়ে যাওয়া যমুনা। যমুনার দেখভালের অভাব মাথায় হাত ফেলেছে এএসআই-এর।
তাজমহল তার শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। শ্বেতপাথরের চমক তাজমহলকে অন্য রূপ দেয়। তাজমহলের সেই শ্বেতশুভ্র রূপেই এবার সবুজের প্রলেপ। তবে তাজমহলের সব অংশে নয়। বিশেষ করে যমুনার জল যে দিক দিয়ে বয়ে গেছে সেদিককার তাজমহলের দেওয়ালে সবুজের প্রলেপ আটকানো একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে এএসআইয়ের কাছে।
এর কারণ যমুনা। যমুনা দেশের অন্যতম পবিত্র নদীর স্থান পায়। কিন্তু সেই যমুনার জলেই জন্ম নিচ্ছে নানা ধরনের কীটপতঙ্গ। তৈরি হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া।
এই ব্যাকটেরিয়া আবার তাজমহলের গায়ে তাদের কলোনি তৈরি করে ফেলছে। যার কারণে তাজমহলের শ্বেতপাথরের রং যাচ্ছে বদলে। সবুজ হয়ে যাচ্ছে।
যা বারবার পরিস্কার যে করা হচ্ছেনা তা নয়। কিন্তু পরিস্কার করার পর ফের তা সবুজ হয়ে যায়। দ্রুত সেখানে বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া, কীটপতঙ্গরা। এজন্য দরকার যমুনার জলকে আরও পরিচ্ছন্ন রাখা। যমুনাকে পরিস্কার রাখা।
সেজন্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গতবছর যমুনার আটকে যাওয়া জলে কীটপতঙ্গ আর ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর সাফাই করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। তাতে কাজও হয়। কিন্তু ফের যে কে সেই পরিস্থিতি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাজমহলের সবুজ হতে থাকা আটকাতে তার শ্বেতপাথরের গা নিয়মিত পরিস্কার করে যেতে হবে। তা না হলেই সেখানে জমাট বেঁধে বসতি স্থাপন করবে ব্যাকটেরিয়া, কীটপতঙ্গেরা। তাতে সবুজ হয়ে যাবে রং।
পরিবেশবিদ দেবাশিস ভট্টাচার্যের মতে, যমুনা দিয়ে যা বয়ে যাচ্ছে তা কার্যত এক ধরনের বিষ। যাতে অক্সিজেন নেই। ভীষণভাবে দূষিত তরল। জলে ভরে আছে নানা ধরনের রাসায়নিক।
যমুনার সংস্কার নিয়ে এর আগেও অবশ্য নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। এবার তাজমহলের সবুজ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্রে করে ফের সেই প্রশ্নই উঠে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা