জেলে বন্দিদের মধ্যে আচমকাই সংঘর্ষ। আর তা এমনই ভয়ংকর চেহারা নিল যে মৃত্যু হল ২৯ জন বন্দির। ৩ জন কারারক্ষীরও মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত কারারক্ষীদের হত্যা দিয়েই। প্রথমে কয়েকজন বন্দি ৩ জন কারারক্ষীকে চেপে ধরে ফেলে। তারপর ৩ জনকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে হত্যা করে তারা। কারারক্ষীদের হত্যা করার পর তারা ৮ জন বন্দিকে গারদ মুক্ত করে দেয়। এরা সকলে একজোট হয়ে অন্য বন্দিদের ভয় দেখাতে থাকে। যাতে তারা কোনওভাবে তাদের পথ আটকানোর চেষ্টা না করে। অন্যদের ভয় দেখাতে গিয়ে ৫ জন বন্দিকে সকলের সামনেই হত্যা করে তারা।
গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে তাজিকিস্তানের দুশানবে শহরের অদূরে একটি সংশোধনাগারে। তাজিকিস্তান সরকার দাবি করছে যারা কারারক্ষীদের হত্যা করে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর সদস্য। ধরা পড়ার পর তাদের এই জেলে জায়গা হয়। পরে তারা যে ৮ জনকে মুক্ত করে গারদ থেকে তারাও আইএস জঙ্গি। এরাই বাকিদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। ৩ কারারক্ষী ও ৫ বন্দিকে হত্যা করেই তারা থেমে থাকেনি। তারপর জেলের মধ্যেই একটি জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। বেশ কয়েকজন বন্দিকে তারা পণবন্দিও করে নেয়। যাতে তাদের পালাতে কোনও সমস্যা না হয়।
আইএস জঙ্গিদের এই জেল পালানোর ফন্দি নস্যাৎ করতে এরপর জেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তৎপর হন। জেল পালানোর চেষ্টা করা ওই আইএস জঙ্গিদের দলটিকে গুলি করে হত্যা করেন তাঁরা। সবটাই অবশ্য হয়েছে আইন মোতাবেক বলেই সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ৩৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। বিফল করে দেওয়া হয় তাদের পালানোর পরিকল্পনা। যেসব বন্দিদের পণবন্দি করেছিল তারা তাদেরও মুক্ত করা হয়। পরে তাজিকিস্তান সরকারের তরফে জানানো হয় দেড় হাজার বন্দি ওই সংশোধনাগারে রয়েছে। অবস্থা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা