একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। যার পাশেই রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের একটি দফতর, একটি খেলার স্টেডিয়াম, বেশ কিছু বড় বড় বাড়ি আর তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অফিস। সবই কড়া সুরক্ষা বলয়ে আবৃত।
শহরের এমনই সুরক্ষিত এলাকায় বহুতলের সামনে সোমবার সকালে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। দ্রুত তার থেকে বেরিয়ে আসে জঙ্গিরা। বেরিয়ে সময় নষ্ট না করে তারা ওই গাড়িতে ঠাসা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়।
প্রবল বিস্ফোরণের চারপাশ কেঁপে ওঠে। কালো ধোঁয়া বহু দূর থেকেও কুণ্ডলী পাকিয়ে আকাশে মিলিয়ে যেতে দেখা যায়। খুব দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন সুরক্ষাকর্মীরা। এলাকা গিরে ফেলেন তাঁরা।
সুরক্ষা কর্মীরা এলাকা ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সুরক্ষাবাহিনী। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। এদিকে বিস্ফোরণের জেরে বহু মানুষ ছিন্নভিন্ন হয়ে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে।
এলাকায় জুড়ে তখন পোড়া বারুদের গন্ধ আর গুলির শব্দ। সকালেই এলাকাটা শ্মশানের চেহারা নেয়। শুধু রক্ত আর মৃত্যু। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের পুল-ই-মাহমুদ খান এলাকায়।
এখন কাতারে চলছে তালিবান ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি বৈঠক। সোমবার যখন বিস্ফোরণটি ঘটে তখন কাতারে সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক চলছিল। তারমধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এই বিস্ফোরণ ও জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। যেখানে একদিকে শান্তি আলোচনা চলছে সেখানে এমন বড় ধরণের হানার কারণ পরিস্কার নয় কারও কাছেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা