প্রথমে পুলিশের মনে হয়েছিল বোমাটি রাখা ছিল পুলিশ ভ্যানের গায়ে। পরে সবদিক থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ জানায়, পুলিশ ভ্যানের গায়ে নয়, বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে মানববোমা দিয়ে। একটি মোটরবাইকে করে আসা এক ব্যক্তি গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দেয়। বিশাল সংখ্যক মানুষের জমায়েতের মাঝে বিস্ফোরণ যে অনেক মানুষের প্রাণ নেবে তা পরিস্কার ছিল। হয়ও তাই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৬ জনের। গুরুতর আহত ৪২ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের পারোয়ান প্রদেশের চারিকর শহরে। এখানে মঙ্গলবার একটি জনসভা করছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তাঁর সহযোগী আমরুল্লা সালেহ। আফগান প্রেসিডেন্ট জনসভা করছেন। সেখানে উপস্থিতি রয়েছেন। বক্তব্য রাখছেন। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। আর সেই ভিড়কেই টার্গেট করল সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তালিবান।
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন গনি ও সালেহ। তাঁদের ২ জনকে সেখান থেকে দ্রুত সুরক্ষাকর্মীরা বার করে নিয়ে যান। ২ জনেই অক্ষত বলে খবর। এদিক বিস্ফোরণের পর এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। চারদিকে তখন বারুদের গন্ধ। হাহাকার আর আর্তনাদের ছবি। ২৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় তাঁদের কয়েকজনের অঙ্গহানির ঘটনাও ঘটেছে।
আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধী অপারেশন জোরদার করেছে আফগান সরকার। আফগান পুলিশ ও সেনা তালিবান অধিকৃত এলাকাগুলোকে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছে। পিছু হঠতে হচ্ছে তালিবানকে। আকাশপথেও তাদের ঘাঁটিগুলোর ওপর নেমে আসছে হানা। তার পাল্টা মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষ মারছে তালিবান। তেমনই এদিনের বিস্ফোরণ। আফগানিস্তানে তালিবান ছাড়াও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস নিজেদের জায়গা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা