কিশোরী, তরুণীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা
নিজেদের জন্য এবার কিশোরী, তরুণীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া শুরু করল জঙ্গিরা। এবার এই জঘন্য কাজও শুরু করল তারা।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার দখল নিচ্ছে তালিবান। আফগান সেনাও অনেক ক্ষেত্রে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে জঙ্গিরা।
যেসব এলাকার দখল এখনও তালিবান নিতে পারেনি সেখানকার মানুষজনের এখন বাড়ির কিশোরী ও তরুণী সদস্যদের কীভাবে রক্ষা করবেন সে চিন্তায় রাতে ঘুম উড়েছে।
কারণ তালিবান এখন যে এলাকাই দখলে নিচ্ছে সেখানে বাড়ি বাড়ি ঢুকে কিশোরী, তরুণীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর জোর করে জঙ্গিদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। অত্যাচারের শিকার হচ্ছে কিশোরী, তরুণীরা।
ইতিমধ্যেই অনেকে এলাকা ছেড়ে বাড়ির কমবয়সী মেয়েদের নিয়ে রাতারাতি কাবুল সহ কিছু অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এখানেই শেষ নয়, তালিবানি অত্যাচার অন্য অনেক মহিলাকেও রেহাই দিচ্ছেনা। যেসব এলাকা দখলে নিচ্ছে, সেখানে তালিবান ঘোষণা করে দিচ্ছে সরকারি আধিকারিক থেকে পুলিশ আধিকারিকদের স্ত্রী ও বিধবাদের তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।
এইসব মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তারা তাঁদের সঙ্গে বলপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। এই জোর করা দাসত্ব ক্রমশ আফগানিস্তান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
এমনকি পরিবারে কেমন বয়সের মেয়ে রয়েছে তা জানতে প্রতিটি পরিবারকে তাদের বাড়ির সব জামাকাপড় জঙ্গিদের দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের সেই পোশাক দেখে তারা অনুমান করার চেষ্টা করছে পরিবারে কেমন বয়সের মেয়েরা রয়েছেন।
এ থেকে বাঁচতে অনেক কিশোরী থেকে মহিলাই রাতের অন্ধকারে পালাচ্ছেন। তালিবানের হাত থেকে বাড়ির মেয়েদের রক্ষা করতে পারবেন কিনা সেটাই এখন প্রতিটি পরিবারের পুরুষদের সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা