গণ্ডারকুলে রেকর্ড গড়ল স্ত্রী গণ্ডার ফস্টা। বাঁচার রেকর্ড। কোনও স্ত্রী গণ্ডারের জঙ্গলের স্বাভাবিক পরিবেশে এতদিন বাঁচার কোনও রেকর্ড বন দফতরের কাছে নেই। ফস্টা বাঁচল ৫৭ বছর। গত ৩ বছর ধরেই তার শরীর ভাল যাচ্ছিল না। ফলে তাকে অভয়ারণ্যে নিয়ে আসেন বনকর্মীরা। ২০১৬ সাল থেকে সেখানেই ছিল সে। অবশেষে গত শনিবার তার মৃত্যু হল। সংশ্লিষ্ট বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ফস্টা-র মৃত্যু হয়েছে খুব স্বাভাবিক নিয়মে। বয়স জনিত কারণে।
তানজানিয়ার এনগোরোনগোরো অভয়ারণ্যে ফস্টার মৃত্যু হয়। তবে জীবনটা সে অভয়ারণ্যে কাটায়নি। তার জীবন কেটেছে একেবারে বন্য পরিবেশে স্বাধীনভাবে। জঙ্গলে খুব স্বাভাবিকভাবে ঘুরত সে। কেবল জীবনের শেষ ৩ বছর তার জায়গা হয় অভয়ারণ্য। কারণ তাকে জঙ্গলের হায়েনারা বিরক্ত করা শুরু করেছিল। ফলে অসুস্থ ফস্টাকে অভয়ারণ্যে নিয়ে আসেন বনকর্মীরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ফস্টা যে বয়সে মারা গেছে তা গণ্ডারদের স্বাভাবিক জীবনকালের সঙ্গে মেলেনা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যেসব গণ্ডার স্বাধীনভাবে জঙ্গলের মধ্যে কাটায় তারা ৩৭ থেকে ৪৩ বছর পর্যন্ত খুব বেশি হলে বাঁচে। আর যেসব গণ্ডার অভয়ারণ্যে কাটায়। ঘেরাটোপের মধ্যে যাদের জীবন কাটে। তাদের কষ্ট করে খাবার খুঁজতে হয়না। তাদের যথেষ্ট আহার যোগান দেওয়া হয় নিয়ম করে। তাদের যত্ন করা হয়। অসুখ হলে সারানো হয়। সেসব গণ্ডার ৫০ বছর বা তার সামান্য বেশি পর্যন্ত বেঁচে যায়। ফস্টা কিন্তু বাঁচল তার চেয়েও অনেক বেশি বছর। তাও জীবনটা স্বাধীনভাবে জঙ্গলে কাটিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা