এই হ্রদের জলের ছোঁয়ায় অনেক পশুপাখি পাথুরে চেহারার মমি হয়ে যায়
পৃথিবীতে এমন অনেককিছু আছে যা কল্পনার অতীত। এমন এক হ্রদ রয়েছে যাতে কোনওভাবে কোনও পশু বা পাখির জীবন শেষ হলে তা জলেই মমি হয়ে যায়।
এমনিতে আর পাঁচটা হ্রদের মতই দেখতে। অনেক সময় জলের ওপরে একটু ধোঁয়ার মত হয়ে থাকে। কিন্তু এই হ্রদকে অনেকে ভীতিপ্রদ হ্রদ বলে ডাকেন। এখানে পশুপাখিদের জীবন গেলে তারা মমি হয়ে যায়। এটাকে স্থানীয় অন্ধ বিশ্বাস ভাবার কারণ নেই। এমনটা সত্যিই হয়।
তানজানিয়ার এই হ্রদটির নাম ন্যাট্রন। এই হ্রদের জলের পারদ অনেক সময় ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জলের পিএইচ স্তর এতটাই যে এই হ্রদের জলের স্পর্শে অনেক পশুপাখির দেহে জ্বালা অনুভব হতে থাকে।
এই হ্রদের জলে অনেক পশুপাখির প্রাণ যায়। তারপর এমন মনে করার কারণ নেই যে আর পাঁচটা প্রাণির জীবন যাওরা পর তা যেমন গলে পচে যায়, এদের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়। মোটেও তেমন হয়না।
বরং এই হ্রদের জলে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট এতটাই বেশি থাকে যে সেই প্রাণির দেহটি ক্রমে মমির মত হয়ে যায়। পাথুরে চেহারা নেয়। কিন্তু তার যেমন চেহারা তেমনই প্রায় থেকে যায়।
কেবল নিথর এক পাথুরে চেহারা নিয়ে থেকে যায় দেহটি। প্রসঙ্গত একসময় মিশরে যখন মমি করা হত তখন এই সোডিয়াম বাইকার্বোনেট মমি তৈরিতে কাজে দিত।
যেখানে তানজানিয়ার এই হ্রদ দূর থেকে সুন্দর হলেও বাস্তবে আতঙ্কের আর এক নাম, সেখানে এই হ্রদের আশপাশ আবার ফ্লেমিঙ্গো পাখিদের জন্য দারুণ পছন্দের। কারণ এখানে তারা ডিম পাড়ে, বংশবৃদ্ধি করে।