হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বাংলা সিনেমা জগতের অন্যতম তারকা তাপস পালের। মুম্বইতে মৃত্যু হয় তাঁর। রাত ৩টে ৩৫ মিনিটে বান্দ্রার একটি হাসপাতালে জীবনাবসান হয়। অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাপস পাল। স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় গৃহবন্দি অবস্থা হয়েছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বারও করে আনা হয় তাঁকে। তারপর ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর মৃত্যু বাংলা সিনেমা জগতের নক্ষত্রপতন হিসাবেই দেখছে টলিউড।
তরুণ মজুমদারের দাদার কীর্তি সিনেমা দিয়ে বাংলা সিনেমায় হাতেখড়ি হয় তাপস পালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাৎ। দাদার কীর্তি-র সেই ভোলাভালা হিরোকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরবর্তীকালে তাপস পাল অভিনীত সাহেব বাংলা সিনেমায় একটা মাইলফলক হয়ে যায়। বলিউডের অন্যতম নায়িকা মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম সিনেমার হিরোও ছিলেন তাপস পাল। বাংলা সিনেমায় তাপস পাল ও শতাব্দী রায় জুটি পরবর্তীকালে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দেয়। ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘আপন আমার আপন’-এর মত সিনেমা বক্স অফিসে যথেষ্ট সফল হয়।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন তৃণমূল নেতা। ২০০১ সালে আলিপুর বিধানসভা থেকে বিধায়ক হন তিনি। তারপর ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তাঁর কিছু বক্তব্যের জন্য নানা সমালোচনাতেও জড়িয়েছেন। চিটফাণ্ড কাণ্ডেও তাঁর নাম জড়ায়। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যায়। সেখানে বন্দি অবস্থাতেও ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি হন হাসপাতালে। তারপর থেকেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। স্নায়ু রোগেও আক্রান্ত হন তিনি।