সন্ধের পর থেকেই কলকাতা বিমানবন্দরে ভিড় বাড়ছিল। একটি গাড়িও সাজিয়ে আনা হয়েছিল। মুম্বই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে তাপস পালের দেহ নামলে সেই মরদেহ নিয়ে ওই গাড়িটিরই প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়ে সোহিনী সহ তাপস পালের পরিবার ও পরিজনেরা। রাত ১০টার একটু আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে নামানো হয় তাপস পালের দেহ। পরে পরিবারের ইচ্ছা মেনে তাঁর দেহ সাজানো গাড়িতে নয়, তোলা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে। তত্ত্বাবধানে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
রাত সওয়া ১০টা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সে বন্ধু ও পরিবারের কয়েকজন দেহ নিয়ে রওনা দেন তাপস পালের বাড়ির দিকে। সেখানেই সারারাত রাখা থাকে দেহ। বুধবার তাঁর দেহ রবীন্দ্র সদনে ১১টায় আনার হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে ২ ঘণ্টা রাখা থাকবে দেহ। সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রবীন্দ্র সদনে মরদেহ শায়িত থাকবে। তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে অভিনেতা রাজনীতিবিদ তাপস পালের।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে জন্য চন্দননগরের ছেলেটি আজকের তাপস পাল। যাঁকে বাঙালি মনে রাখবেন বাংলা সিনেমা অন্যতম নায়ক হিসাবে। সেই তাপস পালের কর্মক্ষেত্র টলিউড পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে না দেহ? উত্তর এড়িয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন যে কর্মসূচি তিনি জানেন তা জানিয়ে দেওয়া হল। অর্থাৎ প্রথমে বাড়ি থেকে রবীন্দ্র সদন। সেখান থেকে মহাশ্মশান। এটাই স্থির হয়েছে। যে তালিকায় কিন্তু ব্রাত্য সিনেমা পাড়া।