আবির্ভাব দিবসে মাতারা আসেন মন্দিরের বাইরে, হয়না অন্নভোগ
সূর্য ওঠার পর তারামাকে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বাইরে আনা হয়। রাখা হয় বিশ্রামতলায়। রাজবেশে সাজানো হয়। প্রথা মেনে চলে পুজো।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে শুক্লা চতুর্দশী তিথি মায়ের আবির্ভাব দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিনের এই রীতি মেনে এদিন সকালে সূর্য ওঠার পর তারামাকে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বাইরে আনা হয়। রাখা হয় বিশ্রামতলায়।
সেখানে তারামাকে রাজবেশে সাজানো হয়। প্রথা মেনে চলে পুজো। তারামায়ের আবির্ভাব নিয়ে যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে তা এরকম।
পাল রাজত্ব চলাকালীন ব্যবসায়ী জয়দত্ত স্বপ্নাদেশ পান। সেই স্বপ্নাদেশমত তিনি মন্দির সংলগ্ন শ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের তলায় পঞ্চমুণ্ডির আসনের নিচে মা তারার শিলামূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই তারাপীঠে পুজোর সূচনা।
এ পীঠকে সিদ্ধপীঠ বলা হয়। আবির্ভাবের এই দিনে মাকে বাইরে এনে পুজো করা হয়। এদিন পুজো দিতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের ঢল নামে। লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে এদিন।
ফলে সকাল থেকেই পুজো দিতে লাইন পড়ে সর্পিল। সকলেই ছিলেন উপবাসে। সন্ধের পর মায়ের ভোগ দিয়েই সাধারণত উপবাস ভঙ্গের রীতি প্রচলিত। তবে এদিন তারাপীঠে কোনও অন্নভোগ হয়না।