একসময়ে এই গাড়ি তৈরির কারখানাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। সিঙ্গুর আন্দোলন তৃণমূল নেত্রীকে রাজ্য রাজনীতিতে তৎকালীন শাসক বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটা শক্তপোক্ত প্ল্যাটফর্ম দিয়েছিল। তার জেরে ন্যানো চলে গিয়েছিল সানন্দে। দেশের সবচেয়ে কম দামী গাড়ি। মধ্যবিত্তের গাড়ি। এক লাখি গাড়ি। এক সময়ে টাটার সর্বময় কর্তা রতন টাটার মস্তিষ্কপ্রসূত এই গাড়ি শুধু ভারত বলেই নয়, সারা বিশ্বে হৈহৈও ফেলে দিয়েছিল। এত কম দামে গাড়ি বিক্রি সম্ভব? প্রশ্ন উঠেছিল গোটা বিশ্ব জুড়ে। আর সেটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছিল টাটা মোটরস।
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অশান্তির জেরে এখান থেকে গুজরাটের সানন্দে কারাখানা তুলে নিয়ে যায় টাটা। সেখানেই ২০০৮ সালে শুরু হয় উৎপাদন। টাটার ন্যানো গাড়ির উৎপাদন। সেই ন্যানোর ভবিষ্যতই বর্তমানে প্রশ্নের মুখে। কারণ গত জুন মাসে মাত্র ১টি ন্যানো তৈরি করেছে সংস্থা। একে উৎপাদন বলে না। ফলে ন্যানো তৈরি প্রায় বন্ধই। এই অবস্থায় সংস্থা কী ন্যানো কারখানা চালু রাখার আর্থিক বোঝা বইতে চাইবে? প্রশ্ন উঠছে। যদিও সংস্থার তরফে ন্যানো কারখানা বন্ধের বিষয়ে এখনও কিছুই জানানো হয়নি।