ভুল বুঝে আবিষ্কার হয়েছিল আশ্চর্য এই ব্যাগ
দ্রুত বিশেষ এক পানীয় তৈরির জন্য এখন দারুণ জনপ্রিয় এই ব্যাগ। কিন্তু এই ব্যাগ তৈরির ঘটনা বেশ চমকপ্রদ। কার্যত ভুল বোঝা থেকেই জন্ম নেয় এই ব্যাগ।
সারাদিনে কাজের ফাঁকে হোক বা আয়েশি ভোর বা বিকেলে, এক কাপ চা না হলে চলেনা। চায়ের প্রতি ভারতবাসীর ভালবাসা সকলের জানা। চা কিন্তু পৃথিবীর সব প্রান্তেই দারুণ জনপ্রিয় একটি পানীয়।
বলা হয় জলের পর মানুষ সবচেয়ে বেশি যে তরলটি পান করেন তা হল চা। চা তৈরির যে আদি অনন্ত উপায় রয়েছে তা আজও অম্লান।
গরম জলে চা পাতা দিয়ে ভিজিয়ে রেখে তারপর তা পান করা। সেই সঙ্গে এখন অফিসে, দোকানে এমনকি বাড়িতেও অনেকে গরম জলে চা পাতা দিয়ে তাকে বেশ খানিকক্ষণ ভিজিয়ে, তারপর ছেঁকে চা তৈরির হ্যাপা নিতে চান না।
বরং গরম জলে টি ব্যাগ ডুবিয়ে চট করে চা তৈরি করে ফেলেন। এই টি ব্যাগ বস্তুটি কিন্তু তৈরি হয়েছিল একেবারেই ভুল বোঝাবুঝি দিয়ে।
সময়টা ১৯০৮ সালের আশপাশে। নিউ ইয়র্কের থমাস সুলিভান তাঁর কয়েকজন ক্রেতার কাছে চায়ের নানা ধরন সিল্কের ছোট ছোট পুটুলি তৈরি করে পাঠাতে থাকেন।
তা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছনোর পর তাঁদের ওই সিল্কের পুটুলি খুলে তা থেকে চা পাতা বার করে তা দিয়ে চা তৈরির কথা। কিন্তু ক্রেতারা বুঝতে ভুল করেন।
তাঁরা মনে করেন এই নমুনা চায়ের পুটলি সবশুদ্ধ ডুবিয়ে দিতে হবে গরম জলে। তাই তাঁরা করেন। চায়ের লিকারও দিব্যি জলে মিশে যায়।
বিষয়টি জানার পর থমাস বুঝতে পারেন যে এভাবেও চা তৈরি করা যেতে পারে। আর এটা তাঁর ক্রেতাদের মন জয় করতে পারে।
১৯২০-র দশকে থমাস সুলিভান তাই গজের কাপড় দিয়ে এমন চায়ের পুটুলি তৈরি করে বিক্রি শুরু করেন। সেই প্রথম টি ব্যাগ বিক্রি শুরু।
তারপর গজের কাপড়ের জায়গা নেয় কাগজ। এরপর টি ব্যাগ বিভিন্ন সময়ে বদলের হাত ধরে আজকে যে টি ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায় সেই রূপে পৌঁছেছে। তবে টি ব্যাগ তৈরি হয় স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি দিয়ে।