গত বছর এই রেস্তোরাঁকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এখানে মন্ত্রিসভার বৈঠকও করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ড সরকারের এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীরা বৈঠক করে যান নিশ্চিন্তে। খবরটি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়। উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফতরের তরফেই তেহরি জলাধারের ওপর তৈরি করা হয়েছিল এই ভাসমান রেস্তোরাঁ। যার মুখ্য কারণই ছিল পর্যটকদের আকর্ষিত করা।
মারিনা নামক সেই জলাধারের ওপর ভাসমান রেস্তোরাঁরই একটা বড় অংশ মঙ্গলবার ডুবে গেল তেহরি জলাধারে। বড় ধরনের ক্ষতি হল রেস্তোরাঁটির। একটাই রক্ষে যে তখন রেস্তোরাঁয় কেউ ছিলেন না। ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এত টাকা খরচ করে তৈরি রেস্তোরাঁ সেভাবে ব্যবহার হওয়ার আগেই এভাবে ডুবে যাওয়ায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জলাধারের জল উল্লেখজনকভাবে কমে যাওয়ায় এভাবে রেস্তোরাঁটি ডুবে গেল। কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ায় রেস্তোরাঁটি বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন হল। আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে এই রেস্তোরাঁটি তৈরি করা হয়েছিল কেবলই পর্যটনের কথা মাথায় রেখে। সেই রেস্তোরাঁর বড় অংশ এখন ডুবে যাওয়ার পর সেই অংশ তুলে আনতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। এদিকে এই ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা