২৫টি দেহ পাওয়া গিয়েছে। তবু জানা গিয়েছে যে এঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখনও নিখোঁজ অনেকে। তাঁরা কেমন আছেন। বেঁচে আছেন কিনা, কিছুই জানা যাচ্ছে না। খোঁজ চলছে তাঁদের। ঝড় তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। কোথায় নিয়ে গেছে কারও জানা নেই। মার্কিন মুলুকের টেনেসি-র বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ করে দিয়ে গেছে পরপর কয়েকটি দানব টর্নেডো। তার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকে।
বাড়িঘর, গাছপালা তো অগুন্তি শেষ হয়ে গেছে। উড়ে গেছে হাল্কা গাড়ি থেকে অন্য অনেক জিনিস। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ন্যাশভিল শহরের। সেখানে প্রায় কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি পরপর টর্নেডো। মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত উলম্বভাবে উঠে যাওয়া এক প্রকাণ্ড ঘূর্ণি। সেই ঘূর্ণি যার ওপর দিয়ে যাবে বা তার আশপাশে যা পড়বে তা তার তেজের সামনে বেশিক্ষণ স্থির থাকার নয়। মানুষ তো অনেক হাল্কা। বড় বড় গাড়ি, গাছ উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে এই অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন টর্নেডো।
শুধু ন্যাশভিল এলাকায় ৪০টি বাড়ি উড়ে গেছে ঝড়ের দাপটে। বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে ঝড় চলে যাওয়ার পর থেকে ৭৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। গোটা শহর ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তো বটেই এমনকি হোয়াইট হাউস থেকে বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পুনর্নির্মাণের জন্য সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। তবে টর্নেডো বিধ্বস্ত শহরগুলিকে কতদিনে ফের পুরনো অবস্থায় ফেরানো যাবে তা এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা