সংক্রমিত ছেলে, নিজে বাঁচতে গাড়ির ডিকিতে করে তাকে নিয়ে গেলেন মা
মা হয়ে সন্তানকে এভাবে নিয়ে যাওয়া যায়! সন্তানের জীবনকে এতটা ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া যায়! ছেলের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মা নিজে বাঁচার জন্য এমনটাও করতে পারলেন!
১৩ বছরের ছেলের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর পরীক্ষা হয়। তাতেই জানা যায় যে সে সংক্রমণের শিকার। এটা তার মা জানতে পারার পরই তিনি ছেলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করে দেন।
এদিকে কিশোর ছেলের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তার বেশকিছু অন্য পরীক্ষার দরকার ছিল। সেজন্য একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়ে।
মা গাড়ি বার করেন ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে নিজে সবরকম সুরক্ষা নেওয়ার পর তিনি অসুস্থ ছেলেকে এনে গাড়িতে বসতে দেননি। তাকে ভরে দেন গাড়ির ডিকিতে। যাতে তিনি গাড়িতে ওঠার পর তাঁর ছেলের থেকে সংক্রমিত না হন।
গাড়ির ডিকিতেই বন্দি অবস্থায় ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয় ১৩ বছরের সংক্রমিত কিশোর। এদিকে পরীক্ষার জন্য তখন দীর্ঘ লাইন। গাড়ি নিয়েই অনেকে লাইন দিয়েছেন।
এই সময় এক স্বাস্থ্য আধিকারিক গাড়িগুলিতে থাকা রোগীদের সম্বন্ধে জানছিলেন। তাঁর নজরে পড়ে যে এক কিশোর গাড়ির ডিকিতে বন্দি। তার মা গাড়িতে বসে আছেন।
বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। পরে ওই কিশোরকে ডিকি থেকে বার করে আনা হয়। এমনকি ওই মহিলার সন্তানের সঙ্গে এমন অমানবিক কাজের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয় পুলিশের কাছে। যদিও ওই মহিলা গ্রেফতার হননি।
ওই কিশোরও সুস্থই আছে। তবে মা হয়ে সন্তানের সঙ্গে আমন আচরণের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে ভর্ৎসনা শুনতে হচ্ছে ওই মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টনে।