গুহার মধ্যে তৈরি হল ১০ হাজার বছর চলা ঘড়ি, খরচ হল ৩৫০ কোটি টাকা
এ ঘড়ি আর পাঁচটা ঘড়ির মত নয়। তার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। একটি গুহার মধ্যে তৈরি হয়েছে এ ঘড়ি। যা আগামী ১০ হাজার বছর ধরে চলতে থাকবে।

ঘড়ি তৈরির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এমনও বেশ কয়েকটি ঘড়ি রয়েছে যা অতিকায়। মানুষ সেসব ঘড়িকে বিশেষ মর্যাদার চোখেও দেখেন। তবে এবার এমন এক ঘড়ি তৈরি হল যে ঘড়ি দেখতে যেতেই একটা বেলা লেগে যাবে। অনেকটা তীর্থ করতে যাওয়ার মত করে যাত্রা শুরু করতে হবে খুব ভোরে।
তবে একটা বেলা পার করে ঘড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন কৌতূহলী দর্শকরা। ঘড়িটি সুবিশাল বললেও কম বলা হয়। তৈরি হয়েছে একটি গুহার মধ্যে। পাহাড়ের বেশ উপরে।
ঘড়িটি যেহেতু এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে তা ১০ হাজার বছর চলতে পারে, তাই ঘড়িতে ব্যবহার হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী বস্তু। ব্যবহার হয়েছে টাইটানিয়াম, সেরামিক, স্ফটিক, নীলকান্তমণি এবং ৩১৬টি ইস্পাতের পাত।
ঘড়িতে রয়েছে সোলার সিংক্রোনাইজার, একটি পেন্ডুলাম, ঘণ্টাধ্বনি তৈরির ব্যবস্থা এবং প্রচুর গিয়ার এবং ডায়াল। কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা এই ঘড়ি তৈরি করেছেন। ঘড়িটি তৈরি করিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। খরচ হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।
এই ঘড়িটি চলবে যান্ত্রিক শক্তিতে। ব্যবহার হবে সৌরশক্তি। ঘড়িটির সঙ্গে ৫টি চেম্বার রয়েছে। প্রথম যখন ঘড়িটি তৈরি হল সে সময়ের জন্য একটি চেম্বার। তারপর দশম বার্ষিকী, শতবার্ষিকী, সহস্রবার্ষিকী এবং শেষ চেম্বারটি তৈরি হয়েছে ঘড়ির ১০ হাজার বছর পূর্তির জন্য।
প্রতিটি চেম্বারে সমসাময়িক সময়ের নানা উপকরণ রাখা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সেখানে এক এক করে সেই সমকালের নতুন জিনিস রাখা থাকবে। যাতে ১০ হাজার বছর পর যখন দেখা হবে তখন সময়ের সঙ্গে নানা জিনিসের বিবর্তন বা অবলুপ্তি সম্বন্ধে মানুষ জানতে পারেন।

৫০০ ফুটের এই ঘড়িটি টেক্সাসের একটি পাহাড়ের গুহায় রাখা হয়েছে। পর্যটকরা বিনা খরচেই এই ঘড়ি দেখতে যেতে পারেন। তবে একদিনে সীমিত সংখ্যক পর্যটকই ঘড়ি দেখতে যেতে পারবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা