গ্রীষ্ম দরজায় কড়া নাড়ছে। আর গরম জাঁকিয়ে পড়া মানেই ঠান্ডা খাবারের চাহিদা তরতরিয়ে বাড়তে থাকা। তা সে চাহিদা সরবতের হোক বা ডাবের জলের। কোল্ড ড্রিঙ্কসের হোক বা আইসক্রিমের। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই পেতে এসব পানীয়ের ওপর হামলে পড়া ভিড় চোখে পড়ার দিন এসে গেছে। সূর্যের উত্তরোত্তর চোখরাঙানির তালে তালে আইসক্রিমের দোকান বা পার্লারগুলোতে বাড়ে আইসক্রিমলোভীদের জটলা। গরমের দিনে প্রাণ জুড়োতে বন্ধু আইসক্রিম। তার অনুরাগীরা ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপী।
সে কথাই প্রমাণ করলেন আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের বাসিন্দারা। সম্প্রতি টেক্সাসের উল্ফপেন ক্রিক এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘স্পিরিট অফ টেক্সাস ফেস্টিভ্যাল’। যা আদতে ভোজনরসিকদের রসনা তৃপ্ত করার উৎসব। এককথায় খাদ্যমেলা। এমনিতে খাওয়া ও খাওয়ানোর বিষয়ে টেক্সাসবাসীর সুখ্যাতি বাঙালিদের মত বিশ্বজোড়া। তাঁদের সেই খ্যাতি এবার আরও এক ধাপ বেড়ে গেল নয়া বিশ্বরেকর্ড গড়ার সৌজন্যে। খেটেখুটে উল্ফপেন ক্রিক এলাকার বাসিন্দারা বানিয়ে ফেলেছেন অবিশ্বাস্য দীর্ঘ এক আইসক্রিম। দৈর্ঘ্যে যা ১৩৮৭ মিটার। অর্থাৎ আইসক্রিমের মাথা থেকে পা অবধি পৌঁছতে গেলে লম্বা পথ পরিভ্রমণ করতে হবে আর কি!
প্রায় ৫০০ গ্যালনের সেই দৈত্যাকার আইসক্রিম সাজাতে উৎসবে জান প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন হাজার হাজার রন্ধন শিল্পী। ভ্যানিলা ও চকোলেট ফ্লেভারের আইসক্রিমের ‘রাজকীয়’ রূপনির্মাণে কি দেওয়া হয়নি তাতে! আইসক্রিমের স্বাদ জমাতে ছিল ২০ হাজার লাল টুকটুকে চেরি আর ২ হাজার কৌটো ঘন ক্রিম। সঙ্গে ছিল ৩০০ গ্যালন ওজনের জুসি চকোলেট ও স্ট্রবেরি সিরাপের তড়কা। আর ২৫ পাউন্ডের স্প্রিংকলের সংযোজন তো ছিলই।
এমন সুস্বাদু সব উপকরণে খোলতাই চেহারার আইসক্রিম গিনেস বুকের অধিকর্তাদেরই জিভে জল এনে দেওয়ার উপক্রম করেছিল। তবে নিয়ম অনুযায়ী তো তাঁদের লোভনীয় সেই আইসক্রিমের সদ্গতি করার উপায় নেই। তাই মাপজোক আর স্বীকৃতি দানের পর দীর্ঘতম আইসক্রিম আধঘণ্টার মধ্যে সাবড়ে উদরস্থ করার অধিকার পান উৎসবে উপস্থিত ৪ হাজার আমজনতাই। তাঁরাই মহানন্দে শেষ করেন দৈত্যাকার আইসক্রিমটিকে। আর এমনভাবে শেষ করেন যে পিঁপড়ে পর্যন্ত হা পিত্যেস করে ফিরে যাবে!