গত শনিবার থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্রের খাঁড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিল একটি পাইলট তিমি। ছোট পুরুষ পাইলট তিমিটিকে বাঁচাতে সেখানে হাজির হয় পশু চিকিৎসকদের একটি দল। তাঁরা জলের মধ্যেই তিমিটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু মৃতপ্রায় সেই তিমি তখন বমি করছে। চিকিৎসকরা দেখেন বমির সঙ্গে তিমির পেট থেকে উঠে আসে ৫টি প্লাস্টিক ব্যাগ। এরপর তিমিটিকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা হলেও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মৃত তিমিটির অটোপসি করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠে যায় চিকিৎসকদের। তিমির পেট থেকে একে একে বার হয় একটা নয়, দুটো নয়, একেবারে ৮০টা প্লাস্টিক ব্যাগ! যার ওজন প্রায় ৮ কেজি। পশু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এত প্লাস্টিক খেয়ে ফেলার ফলেই মৃত্যু হয় তিমিটির। কিন্তু থাইল্যান্ডের সমুদ্রতটে মৃত তিমির দেখা মেলা বা তার পেট থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়ার মধ্যে নতুনত্ব তেমন নেই। প্রতি বছরই থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সমুদ্রতটে তিমি, কচ্ছপ, ডলফিনের মত সামুদ্রিক প্রাণির দেহ মেলে। এদের প্রত্যেকেরই মৃত্যুর কারণ প্লাস্টিক। কারণ আলাদা করে প্লাস্টিক তো ওরা বোঝে না। ফলে তা খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে। তারপর তা পেটে গিয়ে নানা ধরণের বিষক্রিয়া শুরু করে। প্রসঙ্গত থাইল্যান্ড হল বিশ্বের অন্যতম প্লাস্টিক ব্যবহারকারী দেশ। যার কুফল ভুগতে হচ্ছে থাইল্যান্ডের আশপাশে সমুদ্রে খেলে বেড়ানো নিরীহ সামুদ্রিক প্রাণিগুলিকে।