তাঁর সংস্থায় কাজ করতে শহরে এসেছিল সুইত থিপজান্থা নামে এক যুবক। নতুন শহরে কোথায় থাকবে? তাই থাইল্যান্ডের বান পং শহরে নিজের বাড়িতেই তাকে আপাতত থাকার জায়গা দিয়েছিলেন সংস্থার মালিক পারসাক পেতরাসাত। ভালই চলছিল। কদিন আগে সংস্থার কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন পারসাক। বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সুইত।
বাড়ি ফেরার পর পারসাক দেখেন তাঁর স্ত্রী উদভ্রান্তের মত পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আর তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে সুইত। যাকে বাড়িতে আশ্রয় দিলেন, সেই কিনা তাঁর স্ত্রীর সম্মানহানির চেষ্টা করছে! এটা মেনে নিতে পারেননি পারসাক। সুইতকে ধরে মাটিতে আছড়ে ফেলে ফল কাটার ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গটি কেটে নেন পারসাক। তারপর সেই পুরুষাঙ্গ ছুঁড়ে দেন বাড়ির পাশের ঝোপে। আর প্রতিবেশিদের খবর দিয়ে জানান এই ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত সুইতকে কেউ যেন হাসপাতালে নিয়ে যান।
থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পারসাকের কাছে জানতে চায় তিনি পুরুষাঙ্গটি কোথায় ফেলেছেন? পারসাক দেখিয়ে দিলেও সেই ঝোপ বা তার আশপাশে কোনও পুরুষাঙ্গের খোঁজ মেলেনি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ঝোপের মধ্যে রক্তাক্ত পুরুষাঙ্গটি পেয়ে আর লোভ সামলাতে পারেনি পাড়ার সারমেয়কুল। সময় নষ্ট না করে সেটি উদরস্থ করে ফেলে তারা। ফলে সেটি আর পাওয়ার কোনও আশা নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।