প্রবল কম্পনের তালিকায় অবশ্যই পড়ে এই ভূমিকম্প। ফলে কম্পনের জেরে বহু বাড়িতে বড় বড় ফাটল ধরেছে। অনেক ছাদ আংশিক ভেঙেছে। বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন খোলা জায়গায়। ভোরে তখনও ভাল করে ঘুম ভাঙেনি সকলের। তখনই কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে ভূমিকম্প হয়েছে। সকলেই যে যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয় থাইল্যান্ড ও লাওস-এর সীমান্তবর্তী এলাকায়। থাইল্যান্ডের নান প্রদেশ এই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নান-এর ৫০০ বছরের পুরনো একটি মন্দিরের দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে এই কম্পনের জেরে। এদিকে লাগোয়া দেশ লাওস-এ বেলা ১১টা পর্যন্ত আতঙ্ক কমেনি। কারণ সেখানেই সবচেয়ে বেশি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। ১০০টির ওপর আফটার শক অনুভূত হয় এখানে। যারমধ্যে বেশ কয়েকটির মাত্রা নেহাত কম ছিলনা।
থাইল্যান্ডে এত বড় ভূমিকম্পের জেরে সকাল থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। অনেকেই দুপুর পর্যন্ত বাড়ি ঢুকতে চাননি। অনেকেই স্থানীয় পার্ক বা মাঠে গিয়ে হাজির হন। আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি ছিল আফটার শকের। যা টেরও পাচ্ছিলেন তাঁরা। মাঝে মধ্যেই কম্পন হচ্ছিল। ফলে কেউই বাড়িতে ফেরার ঝুঁকি নিতে পারছিলেননা। তবে কম্পনের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত তা এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা