এমন রাত যেন কোনও দেশে না আসে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা। ৫৭ জনকে গুরুতর আহত করা। রাতভর পুলিশের সঙ্গে টানা লড়ে যাওয়া। সারা রাত জুড়ে ঘুম ছুটে যাওয়া শহরে আতঙ্কের প্রহর গোনানো। একজন সেনাকর্মী তথা বন্দুকবাজের এমন মূর্তিমান দানব হয়ে ওঠার ঘটনা এখন লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। অবশ্য থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রবিবার সকালে জানিয়েছেন, বন্দুকবাজকে গুলি করে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। তবে তা রাতভর লড়াইয়ের পর।
পড়ুন : ২০২১ সাল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেল জনপ্রিয় এই সমুদ্র সৈকত
ঘটনার সূত্রপাত একটি সেনা শিবিরে। সেখানে উর্ধ্বতন আধিকারিকের সঙ্গে প্রবল ঝগড়া বাঁধে সেনাকর্মী জাকরাপান্থ থোম্মা-র। ৩২ বছরের ওই যুবক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে আচমকা গুলি চালিয়ে আধিকারিককে হত্যা করে। সেইসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন সেনাকে হত্যা করে সেনা শিবির থেকে পালায়। পালিয়ে হাজির হয় কাছের একটি মন্দিরে। সেখানেও হাতে থাকা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে গুলি বর্ষণ করে সে। তারপর সেখান থেকে হাজির হয় ফুডল্যান্ড মলে।
পড়ুন : থাইল্যান্ডে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, মৃত ৪
থাইল্যান্ডের নাখোন রতচাশিমা শহরের ফুডল্যান্ড মলে ঢুকে সে সেখানেও গুলি বর্ষণ শুরু করে। এখানে একের পর এক মলে আসা মানুষজনকে গুলি করতে থাকে থোম্মা। এলোপাথাড়ি গুলিতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন মানুষজন। আর্ত চিৎকার করতে করতে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি অনেকের। লুটিয়ে পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ মল ঘিরে ফেলে।
শনিবার রাতে আতঙ্ক ছড়ায় মল ও গোটা শহরে। পুলিশের সঙ্গেও গুলির লড়াই শুরু হয় থোম্মার। যা সারারাত চলার পর অবশেষে সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করতে সমর্থ হয় পুলিশ। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। গত শনিবার এক দুঃস্বপ্নের রাত কাটালেন থাইল্যান্ডবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা