এ রেস্তোরাঁয় সর্বত্র ছড়িয়ে থাকে কন্ডোম, খাওয়ার পর উপহারেও মিলবে কন্ডোম
কন্ডোম শব্দটা প্রকাশ্যে উচ্চারণে এখনও একটা অস্বস্তি বোধ করেন এ দেশের মানুষ। কিন্তু সেই কন্ডোমই চারধারে দেখা যাবে এ রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে।
আর পাঁচটা রেস্তোরাঁর মতই এটাও একটা রেস্তোরাঁ। খুব সুন্দর করে সাজানো। খাবারের স্বাদও মন ছুঁয়ে যায়। যাঁরা থাই ফুড বা থাইল্যান্ডের খাবার পছন্দ করেন তাঁরা এই রেস্তোরাঁয় বারবার ফিরে আসতে চাইবেন। এতই সুস্বাদু এ রেস্তোরাঁর বিভিন্ন পদ। তবে সপরিবারে কতজন আসতে চাইবেন তা নিয়ে ছোট্ট প্রশ্ন থাকতেই পারে। কারণটা খাবার নয়, দোকানের সাজসজ্জা।
এ রেস্তোরাঁটিতে ঢুকলে নানা রঙের বাহার নজর কাড়ে। ফুলদানিতে যে ফুল থাকে তা আসল নয় বটে তবে তাতে রংয়ের বাহারের খামতি নেই। যে পুতুলগুলি দাঁড়িয়ে থাকে তাদের পোশাকও অপরূপ। তবে সবই তৈরি হয়েছে কন্ডোম দিয়ে।
টেবিলে রাখা ফুলও বিভিন্ন রংয়ের কন্ডোম দিয়ে তৈরি। মাথার ওপর যে আলোর ঝালর রয়েছে তাও কন্ডোমের সাজে তৈরি হয়েছে।
এমনকি যে মানুষের মত সাইজের পুতুলগুলি সাজানো তাদের পোশাকও তৈরি হয়েছে কন্ডোম দিয়ে। একটি বিশাল ক্রিসমাস ট্রি, তাও পুরোটাই কন্ডোম দিয়ে তৈরি। তাতে নানা রংয়ের কন্ডোম ঝুলছে।
এ রেস্তোরাঁয় খেতে এলে যেদিকে চোখ যাবে, যাই নজরে পড়বে সেটাই কন্ডোম দিয়ে তৈরি হয়েছে, সাজানো হয়েছে। এমনকি এ রেস্তোরাঁয় খাবার পর প্রত্যেক অতিথিকে বিনামূল্যে কন্ডোম দেওয়া হয়। উপহার হিসাবে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের এই ক্যাবেজেস অ্যান্ড কন্ডোমস নামে রেস্তোরাঁতে কিন্তু ভিড় লেগেই থাকে। কেন এমন কন্ডোমের সাজ? রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ কিন্তু ভেবেচিন্তেই দোকানটা কন্ডোমে ভরিয়ে দিয়েছেন।
তাঁরা এর মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনার বার্তা পৌঁছে দিতে চান। পৌঁছে দিতে চান সুরক্ষিত মিলনের বার্তাও। এ রেস্তোরাঁয় মিলন সম্পর্কিত অনেক তথ্যও লিখিত ও ছবির আকারে সাজানো থাকে।
সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে সোহম সিনহা নামে এক ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এই থাই কাফেটি নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যা হুহু করে ছড়িয়ে পড়েছে।