স্বামীর ভুলের খেসারত, মধ্যরাতে জঙ্গলের রাস্তায় ২০ কিলোমিটার হাঁটলেন স্ত্রী
স্ত্রীকে নিয়ে বর্ষশেষ উদযাপন করতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু তাঁর একটা ভুল মাঝরাতে জঙ্গলের রাস্তায় স্ত্রীকে ২০ কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করল।
বর্ষশেষের ছুটিটা চুটিয়ে উপভোগ করতে প্রায় সকলেই চান। ৫৫ বছরের স্বামী আর ৫০ বছরের স্ত্রীরও ইচ্ছে হয়েছিল একটা রাত বাড়িতে নয়, বরং লং ড্রাইভে কাটিয়ে দেবেন।
সেই ভেবে তাঁরা মধ্যরাতে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বার হন। তারপর যাত্রা শুরু করেন হাইওয়ে ধরে। অনেকটা পথ চলে আসার পর তখন রাস্তার ২ ধারে ঘন জঙ্গল। ঘড়ির কাঁটায় রাত ৩টে। গতিতে থাকা গাড়িটা রাস্তার ধারে আচমকা দাঁড় করিয়ে দেন স্বামী।
স্ত্রী কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেন এভাবে জঙ্গলের ধারে গাড়ি দাঁড় করানোর কারণ কি? চারিদিকে তো ১ জনকেও দেখা যাচ্ছেনা। স্বামী জানান তিনি প্রস্রাব আর ধরে রাখতে পারছেন না।
স্ত্রী তাঁকে বলেন, এভাবে জঙ্গলের মাঝে গাড়ি না দাঁড় করিয়ে বরং একটা গ্যাস পাম্প দেখে দাঁড় করালেই হয়। সেখানেই তো প্রস্রাবের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু স্বামী সেকথা না শুনে নেমে যান।
প্রস্রাব সেরে ফের তিনি গাড়িতে ফিরে গাড়ি চালু করেন। গতিতে গাড়ি ছুটতে থাকে সামনের দিকে। কিন্তু গাড়ি চালু করার সময় তিনি লক্ষ্যও করলেন না যে স্ত্রী গাড়িতে নেই।
স্বামীকে প্রস্রাব করতে যেতে দেখে স্ত্রী অ্যামনুই চাইমুনও স্থির করেন গাড়িতে একা না বসে থেকে জঙ্গলে তিনিও প্রস্রাবটা সেরেই নেবেন। সেইমত তিনি জঙ্গলে ঢুকে প্রস্রাব সেরে বেরিয়ে দেখেন গাড়িও নেই, স্বামীও নেই।
মধ্যরাতে হাইওয়ের ওপর পাণ্ডববর্জিত এলাকায় জঙ্গলের মাঝে একা চাইমুন যখন দাঁড়িয়ে তখন রাত ৩টে সবে বেজেছে। স্বামীকে ফোনও করার উপায় নেই। কারণ ফোন সমেত ব্যাগটা গাড়িতেই রয়ে গেছে।
অগত্যা একাই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন ওই মহিলা। পুলিশ কিয়স্ক বা থানা কিছু একটা দেখলে যাতে সাহায্য পেতে পারেন।
কিন্তু ২০ কিলোমিটার পথে তিনি কোনও এমন সাহায্যের রাস্তা খুঁজে পাননি। ২০ কিলোমিটার একটানা হাঁটার পর ভোর ৫টা নাগাদ অবশেষে পুলিশের দেখা পান চাইমুন।
তাঁর কাছে পুরো ঘটনা শুনে স্বামী বুনটম চাইমুনকে যোগাযোগ করে পুলিশ। সব শুনে স্বামীও অবাক হয়ে যান। তিনি জানতেন স্ত্রী গাড়িতেই রয়েছেন।
স্ত্রী যে জঙ্গলে নেমে গিয়েছিলেন তা জানতে না পেরে গাড়ি নিয়ে স্বামী ততক্ষণে ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা পার করে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।