ম্যাজিক আইসক্রিম, খেলেই দেখা মিলবে সবকিছুর
বিভিন্ন মন্দিরের গায়ে লেপ্টে থাকা শিল্পকলা, কারুকার্য অনেক কিছু বলে যায়। অভিভূত করে মানুষকে। এ মন্দিরের কারুকার্য আরও ভালভাবে দেখতে গেলে খেতে হয় আইসক্রিম।
কোনও মন্দিরে গেলে প্রথমেই মানুষ সেই মন্দিরের বিগ্রহ দর্শন করেন। বৌদ্ধমন্দির হলে সেখানে ভগবান বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করেন। তারপর খুঁটিয়ে ঘুরে দেখেন মন্দিরের ভিতরের এবং বাইরের কারুকার্য, শিল্পকলা। স্থানভেদে এই শিল্পও তার ধরন বদল করে। যে সময়ে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেই সময়ের শিল্পের ছাপ মন্দির গাত্রে স্পষ্ট পাওয়া যায়।
এমন এক মন্দির রয়েছে থাইল্যান্ডেও। বৌদ্ধ এই মন্দিরের নাম টেম্পল অফ ডন। জনপ্রিয় এই মন্দিরে সারা বছরই স্থানীয় তো বটেই এমনকি বিদেশি পর্যটকদের ঢল নামে।
এই মন্দিরের গায়ে লেপ্টে থাকা কারুকার্য সত্যিই অপরূপ। হালে এই মন্দিরের গায়ের কারুকার্য আরও কাছ থেকে আরও ভাল করে দেখতে সাহায্য করছে আইসক্রিম।
এই বিশেষ ধরনের আইসক্রিমের স্বাদ মন ভাল করে দেওয়া অন্য অনেক আইসক্রিমের মতই। কিন্তু বিশেষত্ব হল এর আকারে। কাঠি আইসক্রিম বলতে যে চেনা আকার মানুষ দেখে অভ্যস্ত, এ আইসক্রিম সেই আকারের নয়। বরং একটু অন্যরকম।
কিন্তু তার এই ভিন্ন রূপের মধ্যে যেটা চমক দেয় সেটা হল এর ওপর তৈরি কারুকাজ। আইসক্রিমটির গায়ে লেপ্টে থাকে হুবহু মন্দিরের গায়ের শিল্পকলা। যা একদম হাতে ধরে দেখার সুযোগ পান সকলে। তারপর চেটে খেয়েও ফেলেন মহানন্দে।
পর্যটকদের কাছে এ এক অভিনব পাওনা। যে মন্দিরের গায়ের শিল্পকীর্তি তাঁরা ঘুরে দেখলেন, সেই মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে ধরা আইসক্রিমেও সেই শিল্প দেখার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। এমন আইসক্রিম তৈরির ভাবনাকেও কুর্নিশ জানাতেই হয়।