এখানে বেড়াতে গেলে দিনে ২ বার কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত
এখানে বেড়াতে গেলে দিনে ২ বার কিছুটা সময় যেখানে যেমন অবস্থায় আছেন তেমন অবস্থায় মূর্তির মত দাঁড়িয়ে পড়া ভাল। এটা সেখানকার মানুষ চান।
ভারতীয়রা এখন কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের স্বাদ পেতে থাইল্যান্ডে বেড়াতে যান। সেখানে ছড়িয়ে আছে নানা বিনোদনের ব্যবস্থা। পর্যটন সেখানকার অর্থনীতির এক বড় ভরসা। তবে থাইল্যান্ডের কিছু রীতিনীতি আছে।
যা খুব কঠোরভাবে পর্যটকদের ওপর প্রযোজ্য না হলেও থাইল্যান্ডের মানুষ চান তাঁদের সঙ্গে বিদেশি পর্যটকেরাও দেশের এই রীতি মেনে চলুন। তাই থাইল্যান্ডে গেলে যদি সকাল ৮টা এবং সন্ধে ৬টায় আশপাশের ঘুরে বেড়ানো থাই জনগণকে আচমকা স্তব্ধ হয়ে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে পড়তে দেখেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কারণ ওভাবে তাঁরা দাঁড়াবেন ততক্ষণ যতক্ষণ থাইল্যান্ড জুড়ে দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজবে। এটা থাইল্যান্ডের রাজা ও রানির প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন বলেও বিশ্বাস করেন থাইল্যান্ডের মানুষ।
তাঁরা তো করেনই, এই ২ সময়ে যদি বিদেশি পর্যটকেরাও এটা মেনে চলেন তাহলে তাঁরা খুশি হন। থাইল্যান্ডে বেড়াতে অনেকেই হাজির হন। তাই তার আগে সেখানকার রীতিনীতি জেনে সে দেশে পা দেওয়াই ভাল। এতে সমস্যা কমে। সেখানকার মানুষের সাহায্যও মেলে।
থাইল্যান্ডের যেখানেই যাওয়া যাক, সে দেশের রাজা ও রানির ছবি দেখতে পাওয়া যায়। থাইল্যান্ডের মানুষ তাঁদের রাজা ও রানির প্রতি কোনও অমর্যাদা সহ্য করেননা।
প্রতিদিন যাই হোক না কেন ২ বার জাতীয় সঙ্গীত বাজলে তাকে সম্মান জানাতে যেমন অবস্থায় আছেন সেভাবেই দাঁড়িয়ে পড়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।