‘ফেয়ারনেস ক্রিম’ মাখুন আর ফর্সা করে তুলুন পশ্চাৎদেশ। ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’-এর প্রচার করতে গিয়ে এমনটাই দাবি এক থাই মডেলের। ২৫ বছরের নিত্থাকর্ণ নুন্থাসুতেপত অবশ্য এইটুকু দাবিতেই থেমে থাকেননি। ক্রেতার কাছে তাঁর কথার সত্যতা তো প্রমাণ করতে হবে। তাই নিজের পণ্যের প্রচার করতে সোজা পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে বসেন তিনি। সেখানে ক্রিম লাগিয়ে ক্রেতাদের দেখিয়ে দেন ফেয়ারনেস ক্রিমের কার্যকারিতা। নিত্থাকর্ণের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কীর্তিতেই রেগে কাঁই ব্যাংকক প্রশাসন। পণ্যের ভুল ব্যাখ্যার অভিযোগে নিত্থাকর্ণকে গ্রেফতার করে ব্যাংকক পুলিশ।
টেলিভিশন খুললেই অনুষ্ঠানের বিরতির ফাঁকে চোখে পড়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। যার মধ্যে ফর্সা হওয়ার প্রসাধনী দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের রমরমা চোখে পড়ার মতো। ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’ মাখলেই গায়ের কালো রং হয়ে যাবে ফর্সা! এমনটাই দাবি করে থাকে বিভিন্ন ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’-এর বিজ্ঞাপনগুলি। ‘সিঙ্গল মাদার’ নিত্থাকর্ণ সম্প্রতি এমন দাবি জানান একটি ভিডিওতে। সেই ভিডিও নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে ব্যাংককের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। অভিযোগ, ভিডিওটি অনলাইনে প্রকাশ পাওয়ার পর নিত্থাকর্ণ প্রচারিত ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’ দিয়ে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক পড়ে গেছে পুরুষদের মধ্যেও।
ক্রিম বিক্রির এই ব্যবসায় আগেই হাত পাকিয়েছেন নিত্থাকর্ণ। এর আগে তিনি মহিলাদের শিথিল যৌনাঙ্গের জন্য ও ফর্সা মুখের ক্রিম ইন্টারনেটে বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে। তাঁর সেইসব পণ্য বিভ্রান্তিকর কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকি ইন্টারনেটে নিত্থাকর্ণের ভিডিওটিকে ‘পর্নোগ্রাফি’ হিসেবে চিহ্নিত করার কথাও ভাবছে ব্যাংকক প্রশাসন। অবস্থা বেগতিক বুঝে অবশ্য পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন নিত্থাকর্ণ। তাঁর দাবি, নিজেকে আর সন্তানকে ভালো রাখার জন্যই ক্রিম বিক্রির ব্যবসায় নেমেছেন নিত্থাকর্ণ। তাঁর প্রচারিত ‘ফেয়ারনেস ক্রিম’-এর কার্যকারিতায় তিনি সন্তুষ্ট। ভিডিওতে তিনি শুধু তাঁর সেই আনন্দই প্রকাশ করেছেন বলে সাফাই ‘সিঙ্গল মাদার’ মডেলের।