Entertainment

দ্যা লায়ন কিং সিনেমায় ১টি মাত্রই রিয়েল শট, কোনটি জানালেন পরিচালক

দ্যা লায়ন কিং। ১৯৯৪ সালেও এই অ্যানিমেশন সিনেমা পর্দায় আত্মপ্রকাশের পর হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। তার ২৫ বছর পর ফের তা পর্দায় এসে আলোড়ন ফেলে দিল। এবার ৩ডি বা ত্রিমাত্রিক সিনেমা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে দ্যা লায়ন কিং। এই সিনেমাটি পুরোটাই তৈরি হয়েছে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। অ্যানিমেটর ও কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি আর্টিস্টদের তৈরি ১ হাজার ৪৯০টি রেন্ডারড শট দিয়ে এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন বিভিন্ন হলে রমরমিয়ে চলা দ্যা লায়ন কিং সিনেমায় এমন একটি শট রয়েছে যা অ্যানিমেশন নয়, একদম সত্যিকার। কোনটা বলতে পারবেন?

একদম ধাঁধার মত এমন এক প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছুঁড়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন সিনেমার পরিচালক জন ফ্যাবরিউ। নিজেই তার উত্তরও দিয়েছেন। ওই সিনেমার একটি দৃশ্য ট্যুইটারে তুলে তিনি জানিয়েছেন এটাই সিনেমার একমাত্র সত্যিকার শট। যা আফ্রিকায় তোলা হয়েছিল। শটটি হচ্ছে সিনেমার একদম প্রথম দৃশ্য। যেখানে দ্যা সার্কল অফ লাইফ গানটির সঙ্গে একটি সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। এটি আফ্রিকায় তোলা।


এই একটি দৃশ্য বাদ দিলে বাকি পুরোটাই অ্যানিমেশনের যাদু। তা সব সিনেমাটা অ্যানিমেশনে ভরা, শুধু একটা দৃশ্য সত্যিকার করার দরকার কী ছিল? উত্তর দিয়েছেন পরিচালকই। তিনি দেখতে চাইছিলেন যে সত্যিকার শট ও অ্যানিমেশনের মধ্যে ফারাকটা কারও চোখে ধরা পড়ে কিনা! আর সেখানে বলতেই হয় সহজে এই ফারাক কিন্তু কেউ ধরে উঠতে পারবেন না। এই দৃশ্যটি সিনেমার একটি আইকনিক ছবি হিসাবেও ধরে নেওয়া হয়। যা ১৯৯৪ সালের দ্যা লায়ন কিং সিনেমাতেও জায়গা পেয়েছিল।

দ্যা লায়ন কিং হল সিম্বার গল্প। একটি সিংহশাবক, যার বাবা মুফাসার মৃত্যুর পর সে জঙ্গলের রাজা হয়। বাবার জায়গা নেয়। ইতিমধ্যেই এই সিনেমা ভারতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বাজার সম্পূর্ণ করার অপেক্ষায়। সিনেমার পরিচালক জন ফ্যাবরিউ ২০১৬ সালে দ্যা জাঙ্গল বুক করে ইতিমধ্যেই তাঁর অ্যানিমেশনের যাদুর জন্য সুপ্রসিদ্ধ। এবার দ্যা লায়ন কিংকে অন্য মোড়কে উপস্থাপিত করে তিনি ফের চমক দিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button