Foodie

টাইটানিকের যাত্রীদের এলাহি খাবারের মেনু আজও অনেকের জিভে জল আনতে পারে

বিশ্বজুড়ে আজও সবচেয়ে চর্চিত জাহাজ টাইটানিক। যা তার প্রথম সফরেই ডুবে যায়। সেই বিলাসবহুল জাহাজের যাত্রীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত ছিল এলাহি।

টাইটানিক শব্দটার মধ্যে যেমন একটা মনখারাপ লুকিয়ে থাকে, তেমনই আবার লুকিয়ে থাকে তার আভিজাত্য। শতাধিক বছর আগে নিজের প্রথম সফরেই ডুবে যাওয়া টাইটানিকে বিলাস ব্যসনের কোনও অভাব ছিলনা, তেমন খাবারদাবারেও কোনও আপোষ করা হয়নি।

টাইটানিকের মেনু কার্ড আজও বহু মানুষকে অবাক করে। টাইটানিকে সফররত সকল যাত্রী কিন্তু সমান ছিলেননা। তাঁদের মধ্যে বিভাজন ছিল।


প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের মধ্যে বিভাজন ছিল। যা মেনু কার্ডেও স্পষ্ট। টাইটানিকের মেনু কার্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই সেই ৩ শ্রেণির যাত্রীদের খাবার তালিকায় নজর দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

Titanic
টাইটানিকের মেনু কার্ড, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

যাত্রা শুরুর পর থেকে টাইটানিকের সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ছিল চিকেন কারি, বেকড ফিশ, স্প্রিং ল্যাম্ব, মটন এবং রোস্টেড টার্কি। আর ছিল সকলের জন্য পুডিং।


তবে কেবল প্রথম শ্রেণিতে সফর করা যাত্রীরা এছাড়াও পেতেন কর্নড বিফ, ভেজিটেবল, গ্রিলড মটন চপ, কার্স্টার্ড পুডিং, চিকেন আ লা মেরিল্যান্ড, গ্যালান্টাইন অফ চিকেন, অনেক চিজ সহ পটেড শ্রিম্প।

প্রথম শ্রেণির মত অতটা ভাল না হলেও দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীরা পেতেন গ্রিলড হ্যাম, ফ্রায়েড এগ, গ্রিলড অক্স কিডনি, অ্যারমাউথ ব্লটারস, বাকহুইট কেক, ওটস, বয়েলড হোমিনি মত খাবার।

Titanic
টাইটানিক, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Ross Dunn

সবচেয়ে খারাপ ছিল তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের মেনুকার্ড। তাঁদের জন্য ছিল আলু সিদ্ধ, রোস্টেড বিফ, রাইস স্যুপ, কেবিন বিস্কুট, জ্যাকেট পটেটো, চিজ সহ ভাত, পাউরুটি ও মাখন।

প্রসঙ্গত আরএমএস টাইটানিক ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রী ও জাহাজকর্মী নিয়ে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের দেড় হাজার মানুষের প্রাণ যায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button