নিভল মশাল, সংস্কৃতির রংয়ে মিশে অলিম্পিকস গেল পরের দেশে
অন্যতম এক উদযাপন শেষ করল পৃথিবী। ১৫ দিনের উৎসবের অন্তিম দিনে সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও ঝলমল করল ভারতীয় পতাকা। অন্য দেশে গেল অলিম্পিকসের পতাকা।
সেই ১৯২০ সাল। সে বছর ছিল আধুনিক অলিম্পিকসের আসরের সপ্তম অধ্যায়। সেই প্রথম ভারত অলিম্পিকসে অংশ নিয়েছিল।
তারপর ১০০ বছরে অনেক অলিম্পিকসের আসর বসেছে। ভারত যোগ দিয়েছে। কিন্তু টোকিও অলিম্পিকস সে সবের মধ্যে সেরা হয়ে রইল।
এই অলিম্পিকসে ভারত দেশের জন্য সর্বাধিক পদকই জিতল না, সেইসঙ্গে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম পদক নিয়ে এল। ভারতের জন্য তাই মনে রাখার মত টোকিও অলিম্পিকসের আসর এদিন শেষ হল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অন্য দেশের সঙ্গে ঝলমল করল ভারতের পতাকাও।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এদিন সব রং যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। জাপানের সংস্কৃতির ছাপ বারবার উঠে এল অনুষ্ঠানে।
জাপানের আদি সংস্কৃতি, সুর, গান, রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে সঙ্গে রংয়ের খেলা মুগ্ধ করল সকলকে। জাপান দেখাল স্বপ্ন। তাদের মত করে।
এদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল জাপানের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিবেশনা। এদিন অনেক দেশের প্রতিযোগী মাঠের মধ্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলেন।
নাচলেন, গাইলেন, ছবি তুললেন, আনন্দ করলেন, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন। এও তো এক মিলন উৎসব।
জাপানের হাত থেকে এদিন ফ্রান্সের হাতে পতাকা তুলে দিল অলিম্পিকস কমিটি। কারণ পরের অলিম্পিকসের আসর বসতে চলেছে প্যারিসে।
পতাকা তুলে নেওয়ার পর ফ্রান্স তাদের তরফ থেকে একটি ভিডিওর মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানাল অলিম্পিকসকে। চোখ জুড়িয়ে দেওয়া কয়েক মিনিটের ভিডিও অভিভূত করেছে বিশ্ববাসীকে।
সব শেষে প্রথা মেনে ১৬ দিন ধরে জ্বলতে থাকা মশাল নিভে গেল। শেষ হল টোকিও অলিম্পিকস ২০২০, অপেক্ষা ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকসের।