SciTech

হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হাপাই, প্রকৃতির তৈরি এক অনন্য সুন্দর রহস্য

কোনও ব্যক্তির নাম কিংবা খাবারের নাম নয়। এ হল গিয়ে মহাসাগরের বুকে জেগে ওঠা এক দানবীয় আকৃতির আগ্নেয় কাদার দ্বীপ।

২০১৩ সালে পাকিস্তানের গদর এলাকা সংলগ্ন আরব সাগরের বুকে জন্ম নিয়েছিল আগ্নেয়গিরি থেকে তৈরি কাদার পাহাড়। নিজের অস্তিত্বকে অবশ্য খুব বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেনি সে। সেই কাজটাই সম্ভবত এবার করে দেখাতে চলেছে ‘হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হাপাই’।

না, এটা কোনও ব্যক্তির নাম কিংবা খাবারের নাম নয়। এ হল গিয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জেগে ওঠা আরেক দানবীয় আকৃতির আগ্নেয় কাদার দ্বীপ।


Tonga

সম্প্রতি নাসা মহাকাশ থেকে তাদের উপগ্রহের পাঠানো একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার অন্তর্গত ভূগর্ভস্থ আগ্নেয় পর্বত টোঙ্গায় ব্যাপক অগ্ন্যুৎপাত হয়। প্রায় ৩০ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত ওঠা বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায় ওই অঞ্চল।


টোঙ্গার অগ্নিগর্জন শেষ হলে ২০১৫ নাগাদ সমুদ্রতল থেকে ৪০০ ফুট উঁচু এক আগ্নেয় দ্বীপ নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। যা তৈরি হয় মূলত জলের তলায় থাকা আগ্নেয়গিরির ওপর পুরু আস্তরণ তৈরি করা লাভা ও ছাইয়ের স্তূপ থেকে। তবে টোঙ্গার চমকের বোধহয় আরও কিছু বাকি ছিল।

Tonga

এভাবে জলের ওপর মাথা চাড়া দেওয়া অন্যান্য দ্বীপের মতো দু-একদিনের অতিথি হয়ে নয়, লম্বা দৌড়ের ঘোড়া সদ্যজাত হাঙ্গা টোঙ্গা। বড় কোনও প্রাকৃতিক অঘটন না ঘটলে দিব্যি আরও ৩০ বছর স্বস্থানে রাজত্ব করতে পারবে সে।

Tonga

সম্প্রতি ওই দ্বীপের কৃষ্ণমৃত্তিকায় পরিণত মাটি পরীক্ষা করে এমনটাই দাবি নাসার বিজ্ঞানীদের। অগ্ন্যুৎপাতের পর জলের ওপরে উঠে আসা কালচে ছাই রঙের আগ্নেয়শিলার দ্বীপের অতুলনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য এরমধ্যে তোলপাড় ফেলেছে নেট দুনিয়ায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button