প্রাচীন পাহাড়ি মন্দিরে পৌঁছনো এখন হাতের মুঠোয়, দেওয়া যাবে পুজোও
পাহাড়ের ওপর অবস্থিত বিখ্যাত শতাব্দী প্রাচীন এক মন্দির। সেখানে পৌঁছে যাওয়া এখন মুহুর্তের অপেক্ষা। এখন আর অসুবিধা রইল না পুজো দেওয়ারও।
হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি জেলার সিংহভাগই দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। শীতে বরফে ঢাকা থাকে সেসব অঞ্চল। এখানেই এক পাহাড়ের উপর অবস্থিত ত্রিলোকীনাথ মন্দির।
এ মন্দিরের মাহাত্ম্য আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দূর দূর থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই মন্দিরে। পুজো দেন। আরতি দেখেন।
এজন্য কষ্ট সহ্য করে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছন ভক্তেরা। কিন্তু করোনা ভক্তের ঢলে রাশ টেনেছে। কিন্তু ভক্তদের মন আকুলিবিকুলি করছে মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য, আরতি দেখার জন্য, বিগ্রহ দর্শনের জন্য।
সেই সুযোগ এবার হাতের মুঠোয় এসে গেল। চাইলে মুহুর্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে ত্রিলোকীনাথ মন্দিরে। অনলাইনে সেই বন্দোবস্ত হয়েছে।
দশম শতাব্দীর প্রাচীন এই মন্দিরের আরতিতে এখন ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারবেন ভক্তেরা। সকাল ও সন্ধের আরতি দর্শন করতে পারবেন মন ভরে।
এমনকি যাঁরা পুজো দিতে চান তাঁরা মন্দিরে পুজোও দিতে পারবেন এই অনলাইনেই। এ সুযোগ এখন হাতের মুঠোয়। এ মন্দির কেবল হিন্দু বলেই নয়, বৌদ্ধদেরও সমান শ্রদ্ধার।
ত্রিলোকীনাথ মন্দিরে মহাদেব বিরাজ করছেন। দশম শতাব্দীর এই মন্দিরের আদি নাম টুঁডা বিহার। চন্দ্রভাগা উপত্যকায় অবস্থিত এই মন্দিরে হিন্দুদের কাছে যেমন মহাদেব বিরাজ করছেন, তেমন বৌদ্ধদের কাছে এই মন্দিরের বিগ্রহ পূজিত হন আভালোকিটেশ্বর নামে। এখন এই বিখ্যাত মন্দিরে পুজো দেওয়া বা পুজো দেখা কার্যত হাতের মুঠোয় পেয়ে গেলেন ভক্তেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা