এ শহরে এখনও মানুষ গুহায় বাস করেন
মানুষের আদি বাসস্থান ছিল গুহা। সেই গুহা আজ পর্যটকদের দেখার জায়গায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এমনও এক শহর রয়েছে যেখানে বাসিন্দারা আজও গুহায় বাস করেন।
খোলা আকাশের নিচ ছেড়ে আদি মানব রোদ, জল, বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক অন্য দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গুহাকে বেছে নিয়েছিল থাকার জন্য। ক্রমে তারা ঘর তৈরি করা শিখল। গুহা ছেড়ে ঘরে থাকা শুরু করল।
তারপর সেই ছোট দুর্বল ঘর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী হল। ইট, কাঠ, সিমেন্টে এখন আকাশচুম্বী বহুতল তৈরি করছে মানুষ। তাই গুহা এখন নিছকই দেখার জায়গা।
আজ মানুষ ঘুরে দেখেন এক সময় তাঁদের পূর্বপুরুষরা গুহায় কীভাবে জীবন কাটাতেন। কিন্তু এই পৃথিবীতে আজও এমন এক শহর রয়েছে যেখানে আজও মানুষ গুহায় বাস করেন।
মাটি খুঁড়ে জমির তলায় গুহা তৈরি করেন থাকার জন্য। তাঁরা আজও আদিম মানুষের সেই গুহাকেই থাকার সঠিক জায়গা বলে মনে করেন।
দক্ষিণ তিউনিসিয়ায় মাতমটা নামে একটি শহর রয়েছে। বিশাল প্রান্তরের মাঝেই এই শহর। চারধারে ছোট ছোট পাহাড় আর উঁচুনিচু প্রান্তর।
সেসব পাহাড়ি প্রান্তরের পাথুরে মাটির নিচেই ঘর বানিয়ে থাকেন এখানকার মানুষ। সেসব ঘর কার্যতই এক একটি গুহা। মাটির নিচে পৌঁছতে হয় ঘরে ঢোকার জন্য।
এমন নয় যে মাতমটায় থাকার জন্য বাড়ি তৈরি সম্ভব নয়। আসলে এখানকার মানুষ এখনও সেই গুহাতেই থাকতে চান। আর সেখানে তাঁরা বেজায় আনন্দে থাকেন।
মানুষ সেখানে এখনও যেখানেই হোক না কেন থাকতে পারেন। সেখানে সংসার পাততে পারেন। সব সুবিধা পেয়েও গুহায় কাটিয়ে দিতে পারেন। মাতমটায় হোটেলও রয়েছে। আর সেসব হোটেল তৈরি হয়েছে মাটির তলায় এভাবে তৈরি গুহায়।